বাংলা

দেহঘড়ি পর্ব-৯৪

cmgPublished: 2022-11-04 19:23:50
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়ে চীনা চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা ‘ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাধারা’এবং সাক্ষাৎকারভিত্তিক আয়োজন ‘আপনার ডাক্তার’।

# ঐতিহ্যবাহী_ চিকিৎসাধারা

দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি সিন্ড্রোমের চিকিৎসায় টিসিএম

দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি সিন্ড্রোম বা সিএফএস হলো চরম শারীরিক ক্লান্তি যা বিশ্রামের পরেও ভাল হয় না এবং শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের সঙ্গে সঙ্গে আরও খারাপ হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞান এখনও পর্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তির প্রকৃত রূপ, কারণ ও চিকিৎসা প্রক্রিয়া নির্ণয় করতে পারেনি। তবে আকুপাংচার ও ঐতিহ্যবাহী চীনা ওষুধ বা টিসিএম দিয়ে এ রোগের চিকিৎসা চলছে বহুকাল ধরে।

দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি সিন্ড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সর্বদা ক্লান্ত থাকেন, এমনকি স্বাভাবিক পরিমাণে ঘুমানোর পরেও অবস্থার পরিবর্তন হয় না। এই অবস্থা সপ্তাহ, মাস বা বছর ধরে চলতে থাকে। দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তির অন্যান্য লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে শরীর ব্যথা, মস্তিস্কের সমস্যা, দৃষ্টি সমস্যা এবং বিষণ্নতা ও উদ্বেগের মতো মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা।

যদি কোনও ব্যক্তি ছয় মাস বা তারও বেশি সময় ধরে সারাক্ষণ ক্লান্তি বোধ, মাথা ঘোরানো, মনোনিবেশে অসুবিধা এবং মাথাব্যথা বা আলোর প্রতি সংবেদনশীলতার মতো কিছু দীর্ঘস্থায়ী লক্ষণে ভোগেন, তাহলে তাদের সিএফএস হয়েছে বলে ধারণা করতে হবে।

দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি সিন্ড্রোমের সংজ্ঞা অনুসারে, সিন্ড্রোম হলো কতগুলো উপসর্গের সমাহার যেগুলোকে প্রায়শই একত্রে দেখা যায় এবং যার সঠিক ব্যাখ্যা এখনও অজানা। দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তিকে এক সময় কেবল একটি সিন্ড্রোম হিসাবে বিবেচনা করা হতো, তবে এখন এটিকে ‘রোগ’ হিসাবে মনে করা হয়। এ কারণে রোগ হিসাবে এটার একটা নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ‘মায়ালজিক এনসেফালাইটিস’ বা এমই, যা দিয়ে পেশী ব্যথা এবং মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের প্রদাহকে বোঝায়।

1234...全文 6 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn