দেহঘড়ি পর্ব-৯৪
দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি সিন্ড্রোমের লক্ষণগুলো ফাইব্রোমায়ালজিয়ার মতোই হতে পারে। ফাইব্রোমায়ালজিয়ায় আক্রান্ত লোকেরাও গুরুতর ক্লান্তি অনুভব করেন, তবে ফাইব্রোমায়ালজিয়ার প্রাথমিক লক্ষণগুলো হলো বারবার আসে আর যায় এম পেশীর ব্যথা, এবং প্রধান পেশী ও অস্থিসন্ধিগুলোর চারপাশে ‘টেন্ডার পয়েন্টে’ ফোলা ও প্রদাহ। কোনও ব্যক্তির একই সঙ্গে এমই/সিএফএস ও ফাইব্রোমায়ালজিয়া দুটিই হওয়া সম্ভব।
পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এমই/সিএফএস যে কোনও বয়সেই হতে পারে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রাপ্তবয়স্কদের হয় এটা। অনুমান করা হয়, ৯০ দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি রোগ আছে এমন ৯০ শতাংশ মানুষেরই এ রোগ নির্ণয় হয় না।
এমই/সিএফএস একটি গুরুতর ও শারীরিক সক্ষমতা ধ্বংসকারী রোগ, যা এমনকি সবচেয়ে প্রাথমিক দৈনন্দিন কাজকর্মে ও অক্ষম করে দিতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তিতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা যদি এমন কোনও কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেন, যাতে বেশ মানসিক ও শারীরিক পরিশ্রম হয়, তাহলে তারা পরে সম্পূর্ণরূপে শক্তিহীন বোধ করেন এবং এ অবস্থা থেকে ফিরতে সময় লাগে। এটাকে বলা হয় পোস্ট-এক্সারশনাল ম্যালাইজ বা পিইএম।
শীর্ষ ১০টি দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি সিন্ড্রোমের লক্ষণ
মাথা ঘোরা ও মাথাব্যথা দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি রোগের লক্ষণ হতে পারে। এ রোগের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
• ক্লান্তি, সারাক্ষণ ক্লান্তি, দুর্বলতা
• আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা
• কোনও কিছুতে মনোযোগ দিতে সমস্যা, ফোকাস করা কঠিন, স্মৃতি সমস্যা ও বিভ্রান্তি
• মাথা ঘোরা, বিশেষ করে শোওয়া থেকে উঠার সময়
• মাথাব্যথা
• পেশী ব্যাথা, শরীর ব্যাথা, পেশীর দুর্বলতা ও অস্থিসন্ধিতে ব্যাথা
• ঘাড় বা বগলের অংশে বর্ধিত লিম্ফ নোড ও গলা ব্যথা
• ব্যায়াম বা মানসিক পরিশ্রমের পরে ক্লান্ত হয়ে পড়া এবং পরিশ্রম-পরবর্তী অস্বস্তি