দেহঘড়ি পর্ব-৯৩
লেবুতে রয়েছে এমন নানা পুষ্টি উপাদান, যা শরীরকে বিভিন্ন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে শরীরের টক্সিন দ্রুত বেরিয়ে যায়। দিনে তিন থেকে চারবার এই পানীয় খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়।
লেবুতে থাকা উচ্চমাত্রার ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। যে কোনও ভাইরাসজনিত সংক্রমণ যেমন ঠাণ্ডা, সর্দি ও জ্বর দমনে লেবু খুব কার্যকর। মুত্রনালীর ক্ষত সারাতেও লেবু উপকারী।
লেবুর রসে থাকে সাইট্রিক অ্যাসিড, যা ক্যালসিয়ামজাত পাথর সৃষ্টি হতে দেয় না। এছাড়া যেসব পাথর আকারে বড় সেগুলোকে সাইট্রিক অ্যাসিড ছোট টুকরোতে ভেঙে ফেলে। ফলে সহজেই সরু মূত্রনালি দিয়ে সেগুলো বের হয়ে যেতে পারে।
যাদের ডায়রিয়া, বদহজম ও কোষ্টকাঠিন্যের মতো পেটের গোলযোগ রয়েছে তাদের জন্য লেবু আদর্শ টনিক। এসব সমস্যা হলে দ্রুত এক গ্লাস লেবুর শরবত খেয়ে নিতে হবে। লেবুর সঙ্গে এক চা চামচ মধু হলে আরো ভালো হবে।
লেবুর রসে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যা হাইপার টেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। যারা খাবারে যথেষ্ট পরিমাণ পটাশিয়াম গ্রহণ করে না, তারা সহজেই নানা রকমের হৃদরোগে আক্রন্ত হতে পারেন। তাদের জন্য খুব দরকারী লেবু।
প্রাকৃতিক পরিষ্কারক হিসাবে লেবুর তুলনা নেই। চামড়ার অতিরিক্ত তেল অপসারণ করে লেবু। এটি ত্বকের সংকোচন সৃষ্টিকারী পদার্থকে নিয়ন্ত্রণ রাখার মাধ্যমে ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখতে এবং সৌন্দর্য বাড়াতে সাহায্য করে। বয়সের বলিরেখাও দূর করে লেবু। লেবুর রস প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক। এটি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ দূর করে, ব্রণ সারিয়ে তোলে, ত্বকের রং উজ্জ্বল করে।
লেবু অম্লীয় হওয়া সত্ত্বেও শরীরে প্রয়োজনে ক্ষারধর্মী আচরণ করে। এটি একদিকে শরীরে এসিডিটি তৈরি করে না আবার অন্যদিকে শরীরের পিএইচ মাত্রাকে সঠিক অবস্থায় রাখে।
হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টে যারা ভুগছেন, তাদের জন্য উপকারী লেবু। যারা মাইল্ড অ্যাজমায় ভুগছেন, লেবুর রস তাদের জন্য ওষুধের বিকল্প হিসেবেই কাজ করে। নিয়ম করে খাবারের আগে এক চামচ লেবুর রস খেলে শ্বাসকষ্ট কমে বেশ ভালো মাত্রায়। - অভি/রহমান
‘দেহঘড়ি’ অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনাদের মতামত ও পরামর্শ জানতে চাই আমরা। আমাদের ফেইসবুক পেইজ facebook.com/CMGbangla অথবা ওয়েবসাইট bengali.cri.cn’র মাধ্যমে জানাতে পারেন আপনাদের মতামত বা পরামর্শ।