দেহঘড়ি পর্ব-৭৯
‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে স্বাস্থ্যখাতের একটি প্রতিবেদন, স্বাস্থ্য বুলেটিন, ঘরোয়া উপায়ে রোগ নিরাময় বিষয়ক আলোচনা ‘ভালো থাকার আছে উপায়’, সাক্ষাৎকারভিত্তিক আয়োজন ‘আপনার ডাক্তার’ এবং খাদ্যের গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা ‘কী খাবো, কী খাবো না’।
#প্রতিবেদন
‘সারা দেশের মানুষকে সেবা দেয়া কঠিন হচ্ছে’
বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক সংকট থাকায় দেশের মানুষকে নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেছেন, দেশে প্রতি ১০ হাজার মানুষের জন্য ১০-১৫ জন চিকিৎসক রয়েছেন। অথচ প্রতিবেশী দেশগুলোতে চিকিৎসকের এ সংখ্যা ২৫ থেকে ৩০ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বাংলাদেশে আরও চিকিৎসক প্রয়োজন। এমনকি হাসপাতালগুলোতে পরিমাণের তুলনায় আসন সংখ্যাও। সেদিকেও নজর দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২২ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এ দেশে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে বাস করে ১২শ বা তারও বেশি মানুষ, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। পার্শ্ববর্তী দেশ চীন কিংবা ভারতও জনবহুল দেশ। তারপরও সেসব দেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব এত বেশি নয়। সেখানে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১০০ থেকে ১৫০ মানুষের বাস।
জাহিদ মালেক বলেন, এই বিশাল সংখ্যক জনসংখ্যার জন্য খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও কর্মের ব্যবস্থা করতে হয়। প্রতিবছর ৩০ লাখ শিশুর জন্ম হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সম্পদ ও জনসংখ্যার মধ্যে সামঞ্জস্য দরকার। তাহলেই সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা সম্ভব। - অভি/রহমান
#বুলেটিন
বুস্টার ডোজের আওতায় ৩ কোটি ৮১ লাখ মানুষ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বৃহস্পতিবার সারাদেশে প্রায় ৮ লাখ মানুষ বুস্টার ডোজ টিকা নিয়েছেন। এনিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত বুস্টার ডোজ টিকা পেয়েছেন ৩ কোটি ৮১ লাখেরও অধিক মানুষ।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশে টিকা কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৯৬ লাখ ৩৭ হাজার মানুষ। এছাড়া দুই ডোজ টিকার আওতায় এসেছেন ১২ কোটি ২ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ। আর বুস্টার ডোজ নিয়েছে ৩ কোটি ৮১ লাখ ৩৬ হাজার মানুষ।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৭৪ হাজার ১১ জন ভাসমান জনগোষ্ঠী টিকার আওতায় এসেছেন। তাদের জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
জুলাইয়ের শেষে টিকা পাবে শিশুরা
বাংলাদেশে জুলাই মাসের শেষের দিকে ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকা প্রয়োগ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. খুরশিদ আলম।
সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বুস্টার ডোজ কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।
খুরশীদ আলম বলেন, ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের টিকা আলাদা। এই টিকার ভায়াল ও সিরিঞ্জ আলাদা। শিগগিরই বেশকিছু টিকা ও সিরিঞ্জ দেশে এসে পৌঁছাবে। আশা করা যাচ্ছে চলতি মাসের শেষে ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের করোনার টিকা প্রয়োগ শুরু করা যাবে।
মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমতি পেলো বঙ্গভ্যাক্স
অবশেষে মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশে তৈরি গ্লোব বায়োটেকের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা বঙ্গভ্যাক্স। সম্প্রতি ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর এই অনুমতি দেয়।