দেহঘড়ি পর্ব-৩৩-China Radio International
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে একটি দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা প্রয়োজন। চলতি বছর গণটিকাদান কার্যক্রম শুরুর পর গেল ৭ মাসে ৪ শতাংশের কিছু বেশি মানুষকে পূর্ণ ২ ডোজ টিকা দিতে পেরেছে বাংলাদেশ সরকার।
ছবি: ঢাকার একটি টিকাদান কেন্দ্র
আগামী বছর ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৮ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ। সম্প্রতি দেশেই যৌথভাবে টিকা উৎপাদনে চীনের সিনোফার্ম, বাংলাদেশের স্থানীয় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টা এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে। এ উদ্যোগ সফল হলে টিকাদান কার্যক্রম গতিশীল হবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার খুরশীদ আলম।
ছবি: ডা. আবুল বাশার খুরশীদ আলম, মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
টিকা উৎপাদনে যেতে কতদিন সময় লাগবে - এমন প্রশ্নের জবাবে ইনসেপ্টা ভ্যাকিসিন লিমিটেডের ভাইস-চেয়ারম্যান হাসনিন মুক্তাদির বলেন, দিনক্ষণ এখনও ঠিক না হলেও পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে যতো দ্রুত সম্ভব উৎপাদনে যাবেন তারা।
যৌথ টিকা উৎপাদন কার্যক্রম সফল হলে বাংলাদেশের জন্য স্বনির্ভর হওয়ার নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে বলে মনে করে করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক মোজাহেরুল হক। চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হলে সরকারকে নিতে হবে কার্যকর পরিকল্পনা, হতে হবে আরও কৌশলী। তাহলে ৬ মাসের মধ্যেই সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করা সম্ভব বলে মত দেন এই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।