প্রতিদিন রসুন রাখুন পাতে-China Radio International
বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে রসুনের ব্যবহার হয়ে আসছে প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে। মিশরীয়‚ ব্যাবিলনীয়‚ গ্রিক‚ রোমান ও চৈনিক সভ্যতায় ওষুধ হিসেবে রসুনের ব্যবহারের নিদর্শন পাওয়া যায়। পশ্চিমা ওষুধের জনক বলে খ্যাত গ্রিক চিকিৎসাবিজ্ঞানী হিপোক্রেটিস বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসায় রসুন ব্যবহার করতেন। এখন আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানও এটা প্রমাণ করেছে যে, রসুনের রয়েছে নানা ধরনের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা বা ঔষধি গুণ। রসুনে পাওয়া যায় ক্যালসিয়াম‚ কপার, পটাশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন বি১, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬ ও ম্যাঙ্গানিজ। এছাড়া এতে থাকে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান, যা আমাদের শরীরের জন্য খুব দরকারী। চলুন জেনে নেই ওষুধের গুণাগুণ সম্পর্কে:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: রসুন খেলে ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়। এর ফলে রসুনের সাপ্লিমেন্ট বা কাঁচা রসুন খেলে ফ্লু ও কমন কোল্ড বা সর্দি তাড়াতাড়ি সেরে যায়। বারো সপ্তাহ ধরে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন রসুনের সাপ্লিমেন্ট খেলে প্লাসিবো সাপ্লিমেন্টের তুলনায় সর্দিতে আক্রান্ত হওয়ার হার কমে ৬৩ শতাংশ। আর সর্দিতে আক্রান্ত হলেও এর লক্ষণ ৭০ শতাংশ অর্থাৎ ৫ দিন থেকে মাত্র দেড় দিনে কমে আসে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখে: নিয়মিত রসুন খেলে শরীরে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরোল হ্রাস পায় আবার অন্যদিকে এইচডিএল বা ভালো কোলেস্টেরোল বৃদ্ধি পায়। এবং এর মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে, নিয়মিত রসুন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণে খারাপ কোলেস্টেরোল ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হ্রাস পায়।
শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে: উচ্চমাত্রায় রসুন গ্রহণ করলে এতে থাকা সালফার যৌগ সীসা ও অন্যান্য ভারী ধাতুর বিষক্রিয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে। গাড়ির ব্যাটারি তৈরির কারখানায় কাজ করে এমন একদল কর্মীর ওপর ৪ সপ্তাহ ধরে চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, রসুন শরীরের সীসার উপস্থিতি কমায় ১৯ শতাংশ পর্যন্ত। মাথাব্যাথা ও উচ্চ রক্তচাপের মতো বিষক্রিয়ার লক্ষণও কমতে দেখা যায় ওই কর্মীদের মধ্যে।