হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ করুন ইনহেলার ছাড়াই-China Radio International
যোগব্যায়াম: যোগব্যায়াম থেকে আপনি অন্যান্য সুফল না পেয়েও থাকতে পারেন, তবে হাঁপানির ক্ষেত্রে সেটা অব্যর্থভাবেই পাবেন। গবেষণায় এটা প্রমাণিত হয়েছে, যোগ ব্যায়ামে যে রকমভাবে করা হয়, সেরকমভাবে গভীর শ্বাসপ্রশাস গ্রহণ ও নির্গমণ করলে খুব দ্রুত ঘন ঘন শ্বাস নেওয়া কমে। এর ফলে হাঁপানি রোগী সুফল পায় এবং হাঁপানির উপসর্গ কমে। এছাড়া নিয়মিত যোগব্যায়াম গভীর ও দীর্ঘায়িত শ্বাস-প্রঃশ্বাসে মনোনিবেশ করতে সহায়তা করে, যা হাঁপানি আক্রমণের সময় শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী হয়।
ভিটামিন-সি: যদি আপনি হাঁপানি রোগী হন, তাহলে গবেষণাগুলো ভিটামিন-সিসমৃদ্ধ অর্থাৎ সাইট্রাস ফলগুলোর সদ্ব্যবহারের জন্য আরেকটি সরস কারণ খুঁজে পেয়েছে। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, উচ্চ ভিটামিন-সিযুক্ত খাদ্য শিশুদের মধ্যে সাঁ সাঁ শব্দ করে শ্বাসগ্রহণ হ্রাস করে। যদিও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এখনো আরও অনেক তথ্য-উপাত্তের প্রয়োজন রয়েছে, তবে অতিরিক্ত কিছু কমলা, আঙ্গুর লেবু বা কিউই ফলের টুকরো আপনার আহারে যুক্ত করলে তা ভালো উপকার করবে আপনার।
ভিটামিন বি-সিক্স: হাঁপানির রোগী, বিশেষ করে স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধের ওপর যারা নির্ভরশীল, তাদের জন্য পাইরিডক্সিন নামে পরিচিত ভিটামিন বি-সিক্স বিশেষভাবে উপকারী। বি-সিক্স গ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে সকালে শ্বাসগ্রহণ ভাল অবস্থায় থাকে। যে সব ব্যক্তির মধ্যে বি-সিক্সের উপস্থিতি কম, সম্পূরক ওষুধ তাদের শ্বাসপ্রশাসে কষ্ট কমায়। কোনও কোনও রোগীর ক্ষেত্রে অবশ্য তাত্পর্যপূর্ণ পার্থক্য দেখা যায়নি গবেষণায়। সুতরাং শুরু করার আগে নিজের চিকিত্সকের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করা উচিত।
কল্টফুটস (বাটারবার): এই ঔষধি গাছটি এশিয়া ও ইউরোপে বহু বছর ধরে হাঁপানির চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটা একদিকে শরীরে প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে এবং অন্যদিকে শ্বাসনালির পেশীগুলোর সংকোচন কমায়। ফলে সাঁ সাঁ শব্দ করে শ্বাসগ্রহণ এবং তীব্র আক্রমণ থেকে বাঁচা যায়। - রহমান