বাংলা

হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ করুন ইনহেলার ছাড়াই-China Radio International

criPublished: 2021-06-18 19:45:36
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

সারাবিশ্বে ২০ কোটি মানুষ অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগে আক্রান্ত। শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১ কোটি ৮০ লাখেরও বেশি মানুষ হাঁপানি সমস্যা নিয়ে বসবাস করছে আর বাংলাদেশে এ সংখ্যা ৭০ লাখের বেশি। হাঁপানি ফুসফুসের এক সমস্যা, যেটা হলে ফুসফুসে বায়ুগমনের পথ সংকুচিত হয়ে পড়ে, যার ফলে শ্বাস-প্রঃশাসের সময় সাঁ সাঁ শব্দ হয়, শ্বাসযন্ত্র দুর্বলভাবে কাজ করা এবং কখনও কখনও মৃত্যুও ঘটায়।

সামান্য কাশি, কিছুটা অস্বস্তি হিসেবে এটা শুরু হতে পারে এবং এটা বুঝে ওঠার আগেই আপনি শ্বাস নেওয়ার জন্য হাঁসফাঁস করতে থাকবেন, প্রতিটি শ্বাসে সাঁ সাঁ শব্দ শুনতে থাকবেন এবং আতঙ্কিত হতে শুরু করবেন।

প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা রীতি অনুযায়ী ফুসফুসের বায়ুগমনের পথে প্রদাহ বা তীব্র আক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করার জন্য রোগীদেরকে শ্বাস ও মুখে ওষুধ সেবনের মাধ্যমে চিকিত্সা দেওয়া হয়। ঘন ঘন আক্রমণ এবং হাসপাতালে যাওয়া এড়াতে অনেক সময় এগুলোর প্রয়োজন হয়। তবে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এটাও বলে যে, জীবনযাত্রার পরিবর্তন, প্রাকৃতিক খাবার গ্রহণ এবং সমন্বিত চিকিত্সা শুধুমাত্র হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে না; বরং মারাত্মক আক্রমণ হ্রাস করতেও সহায়তা করতে পারে। আসুন জেনে নিই এমন কিছু পদ্ধতি:

আদা: বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত যে, সাধারণভাবে ব্যবহৃত হাঁপানির ওষুধ যখন গ্রহণ করা হয়, তখন তার সঙ্গে আদা গ্রহণ করলে শ্বাসনালি আরও ভালোভাবে প্রসারিত। এছাড়া ফুসফুসে বায়ুগমনের পথের মসৃণ পেশীগুলোর চিকিত্সায় আদার যৌগ ব্যবহার করলে, সেগুলো বায়ুগমনের পথের চারপাশের পেশীগুলোর সংকোচন হ্রাস করে। এর ফলে হাঁপানি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।

ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড: এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব ব্যক্তি আহারে উচ্চমাত্রার ওমেগা-থ্রি গ্রহণ করেন, তারা রোগ নিরাময়কারী ওষুধের উপর অল্প নির্ভর করেই উন্নত জীবনযাপন করতে পারেন। আপনার খাদ্যে ওমেগা-থ্রি যুক্ত করার সহজ উপায়গুলোর অন্যতম হলো দ্রুত নাস্তার জন্য কারব চিপস ও কিসমিসের সাথে মিশ্রিত করে আখরোট গ্রহণ করা। এছাড়া স্যামন ও কুমড়োর বীজে ভালো ওমেগা-থ্রি পাওয়া যায়।

12全文 2 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn