গুণের শেষ নেই আমের-China Radio International
হজমে সাহায্য করে: খাবারের প্রোটিন উপাদানগুলোকে সহজে ভেঙে ফেলতে পারে আমে থাকা এনজাইম। এতে খাবার দ্রুত হজম হয়। ফলে বাঁচা যায় পাকস্থলীর বিভিন্ন রোগ থেকে। এছাড়া আমে থাকে প্রচুর আঁশ, যা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাদের জন্য আম খুব উপকারী।
হৃদরোগ ও আলঝেইমারের বিরুদ্ধে লড়াই করে: আমে উচ্চমাত্রায় বিটা ক্যারোটিন থাকে, যা ভিটামিন এ’র উৎস। এ কারণে আম হৃদরোগ, ভুলে যাওয়া রোগ আলঝেইমার, পার্কিনসন্স ও বাতরোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
চোখের সমস্যা দূর করে: আমে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। চোখের ভেতরে শুকিয়ে যাওয়া বা ড্রাই আই সমস্যাসহ অন্যান্য সমস্যা থেকেও চোখকে বাঁচাতে সাহায্য করে আম।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে: আমে থাকা উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি, ফাইবার ও প্যাকটিন রক্তে কোলেস্টেরলে মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা পালন করে।
হিট স্ট্রোক থেকে শরীরকে বাঁচায়: গ্রীষ্মে হিট স্ট্রোক অতি সাধারণ ঘটনা। তবে আম খেলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক কমে। কারণ আম শরীরের ভেতরটা শীতল রাখে এবং অতিরিক্ত গরম হওয়া থেকে শরীরের ভেতরের অঙ্গগুলোকে রক্ষা করে।
গর্ভবতীদের জন্য উপকারী: আমে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ও ফলিক অ্যাসিড থাকে। এসব উপাদান গর্ভবতীদের জন্য এবং গর্ভে থাকা শিশুর জন্য খুব উপকারী।
ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: মানব ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে আম। বিশেষ করে ত্বকের ফুসকুড়ি দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এ ফল।
অ্যালকালাইনের ভারসাম্য বজায় রাখে: আমে থাকে টারটারিক অ্যাসিড (Tartaric acid), ম্যালিক অ্যাসিড (Malic acid) ও সাইট্রিক অ্যাসিড (Citric acid)। এসব উপাদান শরীরের অ্যালকালাইন বা ক্ষারীয় রাসায়নিকের ভারসাম্য বজায় রাখে।
সতর্কতা:
আমে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। সেকারণে যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাদের পরিমিত পরিমাণে আম খাওয়া উচিৎ। ডায়াবেটিস রোগীদের সাধারণত দিনে একটি পাকা আমের অর্ধেকটা খাওয়ারই পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। - রহমান
‘দেহঘড়ি’ অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনাদের মতামত ও পরামর্শ জানতে চাই আমরা। আমাদের ফেইসবুক পেইজ facebook.com/CMGbangla অথবা ওয়েবসাইট bengali.cri.cn’র মাধ্যমে জানাতে পারেন আপনাদের মতামত বা পরামর্শ।