গুণের শেষ নেই আমের-China Radio International
ফলের রাজা আম। গ্রীষ্মের এই রসালো ফল পুষ্টিগুণে ভরপুর। ভিটামিন এ, বি, সি, ডি ও ই-সহ ২০ ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকে পাকা আমে। এসব উপাদান শরীরের ভিটামিনের অভাব দূর করার পাশাপাশি কর্মশক্তি যোগায়। চলুন জেনে নেই পাকা আমের উপকারিতা সম্পর্কে।
ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে: পাকা আমে থাকে কুয়েরসেটিন (Quercetin), ফাইসেটিন (Fisetin), আইসোকুয়েরসেটিন (Isoquercitrin, অ্যাস্ট্রাগ্যালিন (Astragalin), গ্যালিক অ্যাসিড (Gallic acid) ও মিথাইল গ্যালেট (Methyl Gallate) অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো স্তন ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার ও লিউকেমিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এছাড়া আমে থাকা ভিটামিন এ, সি ও ই শরীরে ফ্রি র্যা ডিকেল বা ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদানকে প্রতিরোধ করে।
রোগ প্রতিরোধ করে: আমে থাকা ক্যারোটিনয়েড (Carotenoid) ও ভিটামিন সি মানবদেহের রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করে এবং বয়সজনিত পরিবর্তনকে ধীর করে দেয়। এছাড়া ক্যারোটিনয়েড ফ্রি র্যা ডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: স্মৃতিশক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে আম। এই ফলে থাকা গ্লুটামিক অ্যাসিড (Glutamic Acid) মস্তিষ্কের কোষগুলোকে উজ্জীবিত করে এবং মনোযোগ বাড়ায়। তাই মস্তিষ্কের চাপ যখন বেশি থাকে, তখন বেশি করে আম খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা।x
খনিজ উপাদানের ঘাটতি মেটায়: ব্যায়াম বা অন্য শারীরিক পরিশ্রম করলে দেহের পটাশিয়াম কমে। এ খনিজ উপাদানের ঘাটতি দূর করতে আম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ আমে থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। এছাড়া প্রতিদিনের পরিশ্রমে শরীর থেকে যে ইলেক্ট্রোলাইটস বের হয়ে যায়, তার ঘাটতিও পূরণ করে আম।
ঠাণ্ডা ও ফ্লু দূর করে: আমে থাকে প্রচুর ভিটামিন এ, সি ও ডি। এসব ভিটামিন ঠাণ্ডা বা ফ্লুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। তাই যতদিন বাজারে আম পাওয়া যায়, নিয়মিত খেতে থাকুন এই ফল।