গণপরিবহন চালু রেখে বিধিনিষেধ বাড়লো ১৬ মে পর্যন্ত-China Radio International
ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা পৌনে দুই কোটি ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে দেশটিতে। এর মধ্যেই টিকাদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি। গত মার্চের মাঝামাঝিতেও ভারতে এক দিনে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ২০ হাজারের কাছাকাছি। তারপর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত ৩০ এপ্রিল ভারতে প্রথম এক দিনে চার লাখের বেশি মানুষের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত কয়েক দিন ধরে দেশটিতে গড়ে সাড়ে তিন হাজারের মতো মানুষ করোনায় মারা যাচ্ছে।দেশটির হাসপাতালগুলোতে আর আসন সংকুলান হচ্ছে না এবং সেখানে অক্সিজেনের গুরুতর সংকট দেখা দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব বলছে, সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসে যত মানুষ আক্রান্ত হয়েছে, তার প্রতি ৩ জনের ১জনই হয়েছে ভারতে। ধারণা করা হচ্ছে করোনাভাইরাসের বিভিন্ন ধরন ও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নানা আয়োজিত ধর্মীয় ও রাজনৈতিক আয়োজনের কারণে সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ভারত এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। প্রথম স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তৃতীয়তে রয়েছে ব্রাজিল।
অক্সিজেন সংকটে ভারতের পাশে দাড়িয়েছে চীন
করোনা মহামারীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়া ভারতের পাশে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে চীন। বেশ কিছুদিন ধরে ভারতকে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর্স ও ভেন্টিলেটরসহ প্রয়োজনীয় মেডিকেল সরঞ্জামাদি সরবরাহ করছে দেশটি। দিল্লিতে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত সান উইডং মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় বলেন, প্রায় ৫ হাজার ভেন্টিলেটর, ২২ হাজার অক্সিজেন জেনারেটর, ৩ হাজার ৮০০ টন মেডিকেল সরঞ্জামাদি এবং ২ কোটিরও বেশি মাস্ক ভারতকে সরবরাহ করেছে চীন। - তানজিদ/রহমান