স্থূলতা শুধু ধনীদের সমস্যা না!-China Radio International
স্থুলতার কারণ কেবল কায়িক শ্রম আর অস্বাস্থ্যকর খাবার?
দীর্ঘ সময় ধরে অতিরিক্ত খাদ্যশক্তি গ্রহণ এবং সে তুলনায় কম পরিশ্রম করাকে স্থুলতার কারণ মনে করা হয়। স্থুলতার চিকিৎসার ক্ষেত্রে তাই এ দুটোকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসাশাস্ত্র এখন বলছে, এ দুটো আসলে কারণ নয়; লক্ষণ মাত্র। আসল কারণগুলো হলো অপর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক চাপ, অবসাদ, এন্ডোক্রাইন বা অন্তঃস্রাবে বিঘ্ন, ওষুধ, দীর্ঘদিনের ব্যথা, গর্ভধারণের প্রভাব ইত্যাদি। এগুলো খাদ্যশক্তি গ্রহণ ও ব্যয়কে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে। নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার উদ্বৃতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন বা জৈবপ্রযুক্তি তথ্য বিষয়ক কেন্দ্র বলছে, অপর্যাপ্ত ঘুম ওজন হ্রাসকে বাধাগ্রস্ত করে। এ কারণে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ঘুমের সমস্যার সমাধানকে অনুমোদন দিয়েছে কানাডিয়ান ওবেসিটি নেটওয়ার্ক। ওজন কমানোর প্রচেষ্টায় তাই চিকিৎসা পেশাজীবীদের এসব কারণগুলোর দিকে মনযোগ দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে এখন।
সবার জন্য ওজন কমাবার পথ এক?
এটা প্রায় শোনা যায়, ইচ্ছাশক্তি ও কতগুলো ওজন-হ্রাস কর্মসূচি মেনে চললেই ওজন কমানো যায়। কারও কারও ক্ষেত্রে এটা সত্যি হলেও সবার ক্ষেত্রে নয়। ‘সবার জন্য এক সাইজ’ এ ফর্মুলা কাজ করবে না ওজন কমানোর ক্ষেত্রে। একই পন্হা একেকজনের জন্য একেক হারে কাজ করবে। যেমন ধরুন একজন ব্যক্তি যদি কোনও এক পন্হায় কিছু ওজন কমিয়ে থাকেন, পরে একই পন্হা তার জন্য একইভাবে কাজ করবে এমন নয়। তাকে তখন বিকল্প পন্হা বা একসঙ্গে একাধিক পন্হা অবলম্বন করতে হতে পারে।
স্থূলতা ইচ্ছা-অনিচ্ছার ব্যাপার?
অনেকের ধারণা স্থুলতা নির্ভর করে ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর। তবে ১৯৯০ এর দশক থেকে বিজ্ঞানীরা ধারণা করে আসছেন যে, স্থূলতার সঙ্গে সুগভীর বংশগত সম্পর্ক রয়েছে। সম্প্রতি নরওয়েজিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির একদল গবেষক আবিষ্কার করেন যে, যাদের পরিবারে আগে স্থূলতার ইতিহাস আছে, তাদের বংশধরদের মধ্যে এ রোগ বেশি হয়। এখানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছা বা খাদ্যাভ্যাস বড় ভূমিকা রাখে না।