অঞ্চলভিত্তিক খাদ্যতালিকা নিয়ে নেচার ফুডে চীনা বিজ্ঞানীদের গবেষণা প্রকাশ
গবেষণায় বলা হয়, অযৌক্তিক খাদ্যাভ্যাস বিশ্বব্যাপী রোগের অন্যতম কারণ, যার ফলে বছরে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ মানুষের অকালমৃত্যু হয়, যা বিশ্বের সমস্ত মৃত্যুর প্রায় এক-পঞ্চমাংশের জন্য দায়ী।
এ ধরনের খাদ্যাভ্যাস পৃথিবীর সম্পদ ও পরিবেশেরও মারাত্মক ক্ষতি করছে। কেননা, খাদ্য উৎপাদন সম্পর্কিত কাজে বার্ষিক গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ১৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন মেট্রিক টনে পৌঁছেছে, যা সমস্ত গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি।
সাম্প্রতিক গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ ডাটাবেস অনুসারে, চীনে প্রতি বছর ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ অনুপযুক্ত ডায়েটের কারণে মারা যায়, যা দেশের বাৎসরিক মৃত্যুর প্রায় ২০ শতাংশের জন্য দায়ী।
চীনে, অস্বাস্থ্যকর ডায়েটের কারণে কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মৃত্যুর হার প্রায় ৫৮ শতাংশ, যেখানে একই কারণে ক্যান্সারে মৃত্যুর হার প্রায় ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ।
লিউ বলেন, সেদ্ধ মাংসের স্যুপ এবং কিউরড মাংস কুয়াংতোংয়ে খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিও তৈরি করে। স্যুপ ক্যান্টোনিজ খাবারের একটি অপরিহার্য অংশ হলেও এতে প্রায়শই স্বাদ বাড়াতে বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করা হয়৷ কিন্তু প্রক্রিয়াজাত মাংসে উচ্চ মাত্রার লবণ থাকে বলে দীর্ঘমেয়াদি গ্রহণে শরীরে উচ্চমাত্রায় ইউরিক অ্যাসিড জমা হওয়া এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগ দেখা দিতে পারে।
লিউ উল্লেখ করেন, কুয়াংতোংয়ের খাদ্য সংস্কৃতিতে প্রচুর শাকসবজি এবং জলজ পণ্য, যেমন তাজা মাছ এবং তোফু রয়েছে। এগুলো বেশ ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ।
এ গবেষক বলেন, ভূমধ্যসাগরীয় খাদ্য ব্যাপকভাবে পশ্চিমে একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যের প্যাটার্ন হিসাবে বিবেচিত হয়, যেখানে প্রচুর ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য, মাছ ও জলপাই তেল খাওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়, যেগুলো সুষম পুষ্টি নিশ্চিত করে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রেখে সামগ্রিক স্বাস্থ্যে অবদান রাখে বলে জানান তিনি।
লিউ যোগ করেন, বার্গার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এবং পিৎজা সহ পশ্চিমা ফাস্ট ফুডগুলোয় অত্যাধিক চিনি, লবণ এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা স্বাস্থ্যে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং স্থূলতা, ডায়াবেটিস এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
ফয়সল/শুভ
তথ্য: চায়না ডেইলি, ছবি: সিজিটিএন