অঞ্চলভিত্তিক খাদ্যতালিকা নিয়ে নেচার ফুডে চীনা বিজ্ঞানীদের গবেষণা প্রকাশ
নভেম্বর ১০, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: প্রথমবারের মতো চীনা বিজ্ঞানীরা একটি অঞ্চলভিত্তিক টেকসই, স্বাস্থ্যকর ডায়েটারি মডেল তৈরির প্রস্তাব করেছেন। প্রতিটি অঞ্চলের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ও ঐতিহ্য বিবেচনা করে পৃথক ডায়েটারি পরিকল্পনা তৈরি করাই তাদের এ গবেষণার লক্ষ্য। চীনাদের খাদ্যাভ্যাসের উন্নতি এবং পরিবেশগত স্থায়িত্বের প্রসারে যা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কুয়াংতোং প্রদেশের কুয়াংচৌতে সুন ইয়াত-সেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব পাবলিক হেলথ থেকে লিউ ইয়ান এবং চিয়া মিনের নেতৃত্বে একটি গবেষণা দল সম্প্রতি নেচার ফুড জার্নালে ‘অ্যাডপশন অব রিজিয়ন স্পেসিফিক ডায়েটস ইন চায়না ক্যান হেল্প অ্যাচিভ গেইনস ইন হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি’ শিরোনামে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন।
এ গবেষণায় খাদ্যাভ্যাস, পরিবেশগত বৈশিষ্ট্য এবং চীনের অঞ্চলগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়ন স্তরের ওপর ভিত্তি করে, অঞ্চলভিত্তিক রেফারেন্স ডায়েট নামের একটি টেকসই ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়েছে।
স্কুলের সহযোগী অধ্যাপক লিউ বলেন, এটি বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দাদের টেকসই খাদ্যের জন্য নির্দেশনা দেবে এবং 'স্বাস্থ্যকর চীন' এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনের সমাধানও দেবে।
গবেষণাটির ব্যাপক প্রশংসা করে বিশ্ব বন্যপ্রাণী তহবিলের গ্লোবাল ফুড-এর প্রধান বিজ্ঞানী ব্রেন্ট লোকেন ওই জার্নালের একই সংখ্যায় ‘স্বাস্থ্যকর এবং টেকসই খাদ্য অবশ্যই সাংস্কৃতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হতে হবে’ শিরোনামে একটি বিশেষ পর্যালোচনাও প্রকাশ করেছেন।
লোকেন বিশ্বাস করেন, গবেষণাটি শুধু চীনের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর এবং টেকসই খাদ্যতালিকা তৈরিতে ব্যবহারিক ও সম্ভাব্য উপায় দেবে না, বরং ভারত ও কেনিয়াসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রেফারেন্সও দেবে। আবার ওই দেশগুলোও এ গবেষণার ওপর ভিত্তি করে তাদের অঞ্চলভিত্তিক টেকসই খাদ্যতালিকা তৈরি করতে পারবে বলে জানান লিউ।