চীনে বেড়েছে ইভি বিক্রি, ইউরোপের হাঙ্গেরিতে নির্মিত হচ্ছে কারখানা
এমন নানা ধরনের অফার, ও কোম্পানির দেওয়া বিশেষ ডিসকাউন্টের কারণে লিয়াওনিংয়ের প্রদর্শনীতে এসেছিল সাড়ে চার লাখেরও বেশি দর্শনার্থী। কেনাবেচা হয়েছে প্রায় ২১০ কোটি ইউয়ান মূল্যের গাড়ি।
অন্যদিকে চীনা বৈদ্যুতিক গাড়িতে ইউরোপের বাড়তি শুল্কারোপের পরও হাঙ্গেরিতে ভালোভাবেই এগোচ্ছে চীনা কোম্পানি সিএটিএল-এর ৭৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগের ব্যাটারি কারখানা। আরেকটি হাঙ্গোরিয়ান শহর জেগেদের ৩০০ একর জায়গাজুড়ে চীনা কার জায়ান্ট বিওয়াইডি তৈরি করছে তাদের কারখানা। আগামী বছর থেকেই বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি শুরু করবে কারখানাটি।
জন ভন নিউম্যান ইউনিভার্সিটির ইউরেশিয়া সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং শাংহাইয়ে হাঙ্গেরির সাবেক কনসাল জেনারেল লেভেন্তে হরভাথ জানালেন, ‘২০২৩ সালে, আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নে চীনা এফডিআই দেখেছি, বিশেষ করে ইভিতে এর ৪৪ শতাংশ এসেছে হাঙ্গেরিতে। এটি বিশাল সংখ্যা। আবার এও ঠিক যে গত দশ বছরে ইভি গাড়ির চীনা বিনিয়োগের অর্ধেকই গেছে ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যে।’
এদিকে চীনা বৈদ্যুতিক যানবাহনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শুল্ক আরোপ স্থায়ী হবে এমনটা বিবেচনা করে, উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হাঙ্গেরি।
হরভাথ বলেছেন, চীনা বৈদ্যুতিক গাড়িতে শুল্কারোপ নিয়ে ইইউ নিজেই বিভক্ত। অন্যদিকে হাঙ্গেরিসহ আগামী অক্টোবরের ভোটে এই শুল্কের বিরোধিতা করার পরিকল্পনা করেছে স্লোভাকিয়া, জার্মানি, স্পেন ও সুইডেন।
এ ছাড়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও চীনের মধ্যে চলছে আলোচনা। দুই পক্ষই খুঁজছে বিকল্প। এই আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার মানেই পরবর্তী পাঁচ বছর ইইউর সঙ্গে চীনের এক ধরনের শীতল বাণিজ্যযুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইইউর শুল্কের মুখেও হাঙ্গেরি তার গাড়ি শিল্পে প্রতিযোগিতামূলকভাবে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে।
করভিনাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল অ্যান্ড ইস্টার্ন সেন্টার ফর এশিয়ান স্টাডিজের প্রতিষ্ঠাতা তামাস মাতুরা জানালেন, ‘হাঙ্গেরি সরকারের দৃষ্টিকোণ থেকে সুসংবাদটি হলো যে, যদি ইউরোপীয় ইউনিয়ন চীনা গাড়ি নির্মাতাদের বিরুদ্ধে ভর্তুকিবিরোধী পদক্ষেপ নেয়, তবে হাঙ্গেরিতে নির্মিত গাড়িগুলো অব্যাহতি পাবে। কারণ এগুলো ইউরোপেই তৈরি হচ্ছে।’
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সংঘাত এড়াতে পুনর্বিবেচনার সুযোগ এখনও আছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের।
ফয়সল/শান্তা