জি-টোয়েন্টি শীর্ষসম্মেলনে চীনা প্রেসিডেন্ট ও প্রসঙ্গকথা
চীন আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, সর্বজনীন ও টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানায়। সি চিন পিং বিশ্ব উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরার তিন বছরে শতাধিক দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এর প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছে। এর আওতায় ১১০০টিরও বেশি সহযোগিতা-প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এটি জাতিসংঘের ‘এজেন্ডা ২০৩০’ বাস্তবায়নের জন্য ‘চীনা বুদ্ধি’ তুলে ধরে এবং বিশ্বের দক্ষিণ দেশগুলোর জন্য কল্যাণ বয়ে আনে।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে আয়োজিত চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ও বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রধান ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস এক বৈঠকে মিলিত হন। ইউনূস বলেন, চীন মানব ইতিহাসে একের পর এক অলৌকিক ঘটনা সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে দারিদ্র্যবিমোচনে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে চীনে। এটি গভীরভাবে প্রশংসনীয়। বাংলাদেশ চীনা অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে চায় এবং অব্যাহতভাবে চীনের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী।
সি চিন পিং ২০১৬ সালে জি-টোয়েন্টির শিল্প ও ব্যবসা শীর্ষসম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য: প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন সকল দেশ ও জনগণের উপকারে আসুক। জি-টোয়েন্টির সদস্যগুলোর মধ্যে উন্নত অর্থনৈতিক সত্তা ও নতুন বাজারের অর্থনৈতিক সত্তা আছে। বিশ্বের বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশ ও বিশ্বের দক্ষিণ দেশ হিসেবে চীন জি-টোয়েন্টি’র মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ইস্যুতে দক্ষিণের দেশগুলোর কথা বলার অধিকার ও প্রতিনিধিত্ব উন্নয়নের চেষ্টা করে আসছে।”