ক্যান্টন মেলার ৬০ বছরের ইতিহাস এবং এর আকর্ষণীয় ক্ষমতা প্রসঙ্গ
১৯৫৯ সালের পর থেকে ক্যান্টন মেলা ৬০টিরও বেশি বছর অতিক্রম করেছে। কেন এতো দীর্ঘ সময় ধরে ক্যান্টন মেলা বিদেশী প্রদর্শক ও ক্রেতাদের কাছে নিজের আকর্ষণ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে? উদ্ভাবন ছাড়াও আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে, পরিষেবা। ক্যান্টন মেলা অগ্রিম পারমিট আবেদন, দূরবর্তী পারমিট আবেদন, এবং ২৪-ঘন্টা পারমিট আবেদনের সুবিধা প্রদান করে। প্রদর্শক এবং বণিকরা শুধু প্রদর্শনী হলেই পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারেন না, বরং প্লেন, ট্রেন, জাহাজ থেকে নামার বা হোটেলে পৌঁছানোর সাথে সাথেই আবেদন করতে পারেন। প্রদর্শনী হলের সবখানে ব্যাংক শাখা, এটিএম মেশিন, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় মেশিন এবং বৈদেশিক মুদ্রার পিওএস মেশিন আছে, যা বিদেশী প্রদর্শকদের জন্য সুবিধাজনক। পাশাপাশি, কুয়াচৌ শহরে দক্ষ ও সূক্ষ্ম "ক্যান্টোনিজ-স্টাইল পরিষেবা"-ও দেখা যায়। যেমন, ক্যান্টন মেলা ব্যবসায়ীদের জন্য পাইয়ুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সীমান্ত পরিদর্শনের জন্য এক্সপ্রেস কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স ও বিশেষ লেন, পাতাল রেল ও প্রদর্শনী হলের মধ্য দিয়ে যাতায়াতকারী পর্যাপ্ত বাসলাইন আছে। কুয়াংচৌ আন্তর্জাতিক কেনাকাটা উত্সব, সূক্ষ্ম খাদ্য উত্সব, এবং কফি সংস্কৃতি উত্সবের মতো একাধিক কার্যক্রমও আছে।
বর্তমানে বিশ্বের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকাজের গতি মন্থর, কিন্তু চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য এখনও শক্তিশালী ও গতিশীল। চলতি বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে চীনের মোট আমদানি ও রপ্তানির মূল্য ৩২ ট্রিলিয়ন ইউয়ানের রেকর্ড ভেঙেছে এবং প্রতিটি প্রান্তিকে ১০ ট্রিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়েছে। বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসাবে, ক্যান্টন মেলার মতো প্লাটফর্মগুলো চীনের সাথে বিদেশী বাণিজ্যিক অংশীদারদের পারস্পরিক যোগাযোগের ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে।