‘ব্রিক্স’ সহযোগিতা ও ‘বৈশ্বিক দক্ষিণ’
বর্তমান বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা ও শক্তির ভারসাম্য সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। একদিকে নতুন বাজার ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর বিশ্ব অর্থনীতিতে অবদান বাড়ছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের অনুমান অনুযায়ী, ২০২৭ সালে ব্রিক্স দেশগুলো বিশ্ব অর্থনীতির ৩৭.৬ শতাংশের অংশীদার হবে। অন্যদিকে, জি-সেভেন-কে প্রতিনিধিত্ব করা উন্নত দেশগুলোর আন্তর্জাতিক প্রভাব হ্রাস পাচ্ছে। পশ্চিমা দেশগুলোর আধিপত্যবাদী আচরণ, বিদ্যমান আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
এবারের শীর্ষসম্মেলনে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ব্রিক্স-কে পাঁচটি নামে ডেকেছেন: শান্তির ব্রিক্স, উদ্ভাবনের ব্রিক্স, সবুজ ব্রিক্স, ন্যায়ের ব্রিক্স, ও সাংস্কৃতিক ব্রিক্স। তাঁর বক্তব্যে ব্রিক্সের সদস্যদেশগুলোর শান্তি, উন্নয়ন, সহযোগিতা, ও অভিন্ন কল্যাণ অর্জনের ইচ্ছা প্রকাশিত হয়েছে। আর এগুলো হচ্ছে ব্রিক্স দেশগুলোর সহযোগিতা-ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক নীতি। এসব উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের মাধ্যমে ব্রিক্স দেশগুলো সংস্কার ও উচ্চ মানের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে।
বস্তুত, বৈশ্বিক ব্যবস্থায় সংস্কার এবং প্রকৃত বহুপক্ষবাদ বাস্তবায়ন করা জরুরি। চীন ব্রিক্স দেশগুলোকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে, বহুপক্ষীয় সহযোগিতা উন্নত করতে, প্রকৃত বহুপক্ষবাদ বাস্তবায়ন করতে, এবং আরও ন্যায্য ও যুক্তিসঙ্গত বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায়।