কেন এশিয়ার দেশগুলো সক্রিয়ভাবে "ব্রিকস" এর কাছে যাচ্ছে
এমন পরিস্থিতিতে, এই অঞ্চলের বেশিরভাগ দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত তথাকথিত "ইন্দো-প্যাসিফিক" কৌশল থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছে। যদিও সাতটি আসিয়ান দেশ "ইন্দো-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক কাঠামোতে" যোগ দিয়েছে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তাদের বেশি বাণিজ্যিক প্রবেশাধিকার দেয়নি। পাশাপাশি, এসব দেশ নিজেদের প্রান্তিক অঞ্চল বলে মনে করেছে। "বেল্ট অ্যান্ড রোড" ইনিশিয়েটিভের গঠিত বিশাল অর্থনৈতিক সুযোগের তুলনায়, "ইন্দো-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক কাঠামো" শুধুমাত্র একটি প্রতীকী উদ্যোগ বলে মনে হয়। এই হতাশা অনেক দেশকে আরও সমান এবং পারস্পরিক কল্যাণকর অর্থনৈতিক সম্পর্ক অর্জনের জন্য "ব্রিকস" দেশগুলোর সাথে সহযোগিতার জন্য আরও বেশি ঝুঁকেছে।
আজ, অনেক দেশ আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাদের কণ্ঠস্বর উন্নত করার এবং ব্রিকস, একটি নতুন বহুপাক্ষিক ব্যবস্থায় যোগদানের মাধ্যমে আবার প্রান্তিক হওয়া এড়ানোর আশা করছে। ব্রিকস সহযোগিতা সংস্থা প্রতিষ্ঠা নতুন বাজার দেশগুলোকে আরও সমান সহযোগিতার প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে, যাতে তারা যৌথভাবে বিশ্বের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ে তাদের বক্তব্য তুলে ধরতে সক্ষম হয়।
বিশ্বায়নের গভীরতা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ক্রমেই জটিল হবার সঙ্গে সঙ্গে, একক শক্তির আধিপত্যের অবস্থান ধীরে ধীরে চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ছে। ভবিষ্যতে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা শুধু অর্থনৈতিক খাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং রাজনৈতিক, নিরাপত্তা, সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য খাতেও তা প্রসারিত হবে। এই বৈচিত্র্যপূর্ণ সহযোগিতা মডেল বৈশ্বিক শাসনে নতুন ধারণা ও সমাধান নিয়ে আসবে।
এই প্রেক্ষাপটে, এশীয় দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সহযোগিতা শুধুমাত্র বাহ্যিক চাপ মোকাবিলা করার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, তাদের নিজস্ব উন্নয়ন অর্জনেও একটি অনিবার্য পছন্দ। "ব্রিকস" সহযোগিতা সংস্থায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে, এই দেশগুলো কেবল তাদের আন্তর্জাতিক মর্যাদাই বাড়াবে না, বরং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক কাঠামোয় আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে। আশা করা যায়, ভবিষ্যতে এশিয়ার দেশগুলোর কণ্ঠস্বর আরও জোরালো হবে এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ে তাদের অংশগ্রহণ ও প্রভাব ক্রমাগত বাড়বে।