বাংলাদেশের পাশে আছে চীন
গত ছয় বছরে, চীন ৪০টিরও বেশি দেশে ৮ শতাধিক জরুরি মানবিক সহায়তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে এবং ৩০টিরও বেশি দেশে জরুরি খাদ্য সহায়তা দিয়েছে। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুসারে, চীন সবচেয়ে বেশি মানবিক সহায়তা প্রদান করা উন্নয়নশীল দেশ। এই সংখ্যার পিছনে রয়েছে অগণিত জীবনের আশা, যা আন্তর্জাতিক মানবিক কাজে চীনের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে।
বন্যার মুখে, চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোও সক্রিয়ভাবে সাড়া দিয়েছিল, সীমাহীন ভালবাসার চেতনা প্রদর্শন করে। ২৫ অগাস্ট পর্যন্ত চীনা প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানিগুলো দুর্যোগ-কবলিত এলাকায় ৪১.৩ লাখ টাকারও বেশি সহায়তা দিয়েছে এবং প্রায় ৬১.৯ লাখ টাকার সামগ্রী সরবরাহ করেছে। মোট অনুদানের পরিমাণ ১ কোটি টাকারও বেশি। এই ধরনের প্রতিষ্ঠানের সামাজিক দায়বদ্ধতা কেবল অর্থনৈতিক শক্তিকেই প্রতিফলিত করে না, বরং মানবিকতার উপরও জোর দেয় এবং আন্তর্জাতিক সমাজে চীনা কোম্পানিগুলোর ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরে।
চীনের সাহায্য কার্যক্রম বাংলাদেশে সীমাবদ্ধ নয়। এই বছরের শুরু থেকে চীন কিউবা, জাম্বিয়া, ফিলিস্তিন, ফেডারেটেড স্টেটস অফ মাইক্রোনেশিয়া এবং অন্যান্য দেশে জরুরি মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে। যা কার্যকরভাবে স্থানীয় মানবিক সংকট দূর করেছে, প্রাপক দেশগুলো এবং আন্তর্জাতিক সমাজের জনগণের ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। এই কার্যক্রমগুলো সমস্যায় পড়া আত্মাকে পুষ্ট করে এবং আশা ও উষ্ণতা প্রকাশ করে। এতে দেখা যায় যে, চীন সর্বদা জন-কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি মেনে চলে, মানবজাতির জন্য অভিন্ন কল্যাণের সমাজের ধারণা অনুশীলন করে এবং আন্তর্জাতিকতা ও মানবতাবাদের চেতনাকে সমুন্নত করে।
আজ, বিশ্বায়ন গভীর হওয়ার সাথে সাথে, সাধারণ চ্যালেঞ্জের মুখে দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সমর্থন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। চীন বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে যৌথভাবে দুর্যোগ মোকাবেলা করা এবং উন্নয়ন প্রচারে হাত মিলিয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক। এ ধরনের সহযোগিতার মাধ্যমে, আরও নিরাপদ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ বিশ্ব গড়ে তোলা একটি দায়িত্বশীল প্রধান দেশ হিসেবে চীনের লক্ষ্য ও দায়িত্ব।