নতুন যাত্রাপথে চীন-বাংলাদেশ: ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ঘোষণা
চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের অনন্যতা উচ্চ-পর্যায়ের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতায় প্রতিফলিত হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সফরের মূল বিষয়ও ছিল বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কেন্দ্রিক।
টানা ১৩ বছর ধরে চীন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। আর বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার।
বাংলাদেশ ২০১৬ সালে বিআরআই’তে যোগদানের পর থেকে, চীন এবং বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সেই বছর ১৫.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২০২২ সালে ২৭.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে।
২০২৩ সালের শেষ পর্যন্ত, বাংলাদেশে চীনের ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ ছিল ৩.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা চীনকে বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস করে তুলেছে। চীন, বাংলাদেশের জন্য ৭টি রেলপথ, ১২টি মহাসড়ক, ২১টি সেতু এবং ৩১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে। এর মধ্যে, পদ্মা সেতু, কর্ণফূলী টানেল এবং দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগারের মতো অনেক ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে, যা বাংলাদেশের জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা নিয়ে এসেছে।
বর্তমানে, বাংলাদেশে ৬৭০টিরও বেশি চীনা কোম্পানি বিনিয়োগ করেছে এবং কাজ করছে। এ সব উদ্যোগ সাড়ে ৫ লাখের বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। প্রধানমন্ত্রী হাসিনা একবার বলেছিলেন যে ‘বিআরআই’ বাংলাদেশের জন্য উন্নয়নের একটি নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
৯ তারিখে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত চীন-বাংলাদেশ ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ফোরামে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনা কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এবং চীন দীর্ঘদিন ধরে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এবং চীন সর্বদা বাংলাদেশের অবকাঠামো নির্মাণে অবদান রেখে আসছে এবং প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে উন্নীত করেছে। আমি অধীর আগ্রহে চীনের ব্যবসায়ী নেতাদের বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র যেমন অবকাঠামো, পুনঃনবায়নযোগ্য শক্তি, লজিস্টিকস, এবং কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে বিনিয়োগের অপেক্ষায় আছি।”