চতুর্থ চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক কেমন ছিল?
চীন স্পষ্ট করে বলেছে যে, তথাকথিত ‘অতিরিক্ত উত্পাদন ক্ষমতা’ সমস্যা আসলে চীনা সরকারের একতরফা নীতি নির্দেশনার পরিবর্তে শ্রম ও বাজার চাহিদার আন্তর্জাতিক বিভাজনের স্বাভাবিক ফলাফল। বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে, জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া এবং সবুজায়নের দিকে উত্পাদন শিল্পের রূপান্তরের প্রেক্ষাপটে চীনের নতুন শক্তির যানবাহন শিল্প বিকশিত হচ্ছে। চীনের নতুন শক্তি শিল্পের সুবিধাগুলো সরকারী ভর্তুকির পরিবর্তে বাজার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে গঠিত হয়। তথাকথিত ‘উত্পাদন ক্ষমতা ইস্যু’ শুধুমাত্র চীনের নিজস্ব বাজারের চাহিদার উপর নির্ভর করে না, বৈশ্বিক বাজারের চাহিদার আকারের উপরও নির্ভর করে। ‘অত্যধিক রপ্তানি পণ্য মানে অতিরিক্ত উত্পাদন ক্ষমতা’ এই দৃষ্টিভঙ্গি অযৌক্তিক। চীনের নতুন জ্বালানি শক্তি শিল্পের বিকাশ বিশ্বব্যাপী সবুজায়ন ও নিম্ন-কার্বন রূপান্তরে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশ এর থেকে উপকৃত হবে।
এই বৈঠকের ফলাফল এবং ঐকমত্য দেখায় যে মতপার্থক্য সত্ত্বেও, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র এখনও আলোচনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে অভিন্ন চ্যালেঞ্জগুলো সমাধান করতে ইচ্ছুক। বিশেষ করে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের সংকটময় সময়ে, দু’পক্ষের মধ্যে সহযোগিতা বিশ্ববাজারকে স্থিতিশীল করতে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এগিয়ে নেয়ার জন্য অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ।
চীন সবসময় বিশ্বাস করে যে পারস্পরিক শ্রদ্ধার সাথে সংলাপ জোরদার করা উচিত, পার্থক্যগুলো বিচক্ষণতার সাথে পরিচালনা করা উচিত, পারস্পরিক কল্যাণের চেতনায় সহযোগিতাকে উন্নীত করা উচিত এবং দায়িত্বের সাথে আন্তর্জাতিক সমন্বয় জোরদার করা উচিত। বিশ্বাসযোগ্যতার উপর ভিত্তি করে, আমাদের নিজ নিজ প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কেবল তার মাধ্যমেই ‘সান ফ্রান্সিসকো ভিশন’কে ‘বাস্তবতায়’ রূপান্তরিত করা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সহযোগিতায় চীন এটিই করে আসছে। আশা করা যায় যে, যুক্তরাষ্ট্র আন্তরিক হবে এবং এই সহযোগিতাকে সত্যিকার অর্থে ফলপ্রসূ ও কার্যকর করবে।