বিশ্বমঞ্চে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ও আকর্ষণের নেপথ্যে ‘সফট পাওয়ার’
ব্রিটিশ ব্র্যান্ড আর্থিক পরামর্শক সংস্থা, ব্র্যান্ড ফাইন্যান্স প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জোর দেওয়া হয়েছে যে ২০২৪ সালের গ্লোবাল সফট পাওয়ার ইনডেক্স র্যাঙ্কিং অনুযায়ী, চীনের ‘সফট পাওয়ার’ দ্রুত বেড়েছে, জার্মানিকে ছাড়িয়ে গেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের পরে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। এই বড় অগ্রগতি বিশ্বমঞ্চে চীনের ক্রমবর্ধমান আকর্ষণ এবং প্রভাবকে তুলে ধরে।
ব্র্যান্ড ফাইন্যান্স সফট পাওয়ারকে সংজ্ঞায়িত করে আন্তর্জাতিক মহলকে বাধ্য করার পরিবর্তে, একটি দেশের প্রভাব এবং আকৃষ্ট করার ক্ষমতা হিসাবে।
তাহলে, এই সফট পাওয়ার আসলে কী? সফট পাওয়ার হলো সামরিক শক্তি কিংবা অন্য কোনো উপায়ে বলপ্রয়োগের পরিবর্তে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক শক্তির মাধ্যমে কাউকে আকৃষ্ট করা বা প্রভাবিত করা।
চীনের সফট পাওয়ার বৃদ্ধির পিছনে নানা কারণ রয়েছে।
প্রথমত, চীনের সফ্ট পাওয়ারের উন্নতির সাথে চীনা ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির আকর্ষণ এবং উদ্ভাবনের অনেক সম্পর্ক রয়েছে। সফট পাওয়ার শব্দবন্ধটির স্রষ্টা আমেরিকান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী জোসেফ নাইয়ে, বলেছেন চীনের সফট পাওয়ারের অন্যতম উত্স হল চীনের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি, যা এখনও আকর্ষণীয়।
সম্প্রতি, নিউইয়র্কের মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্ট আয়োজিত ড্রাগন বর্ষের উদযাপন আবারও চীনা সংস্কৃতির আকর্ষণ প্রদর্শন করেছে এবং বিশ্ব দর্শকদের আকর্ষণ করেছে। চীনের ভাষা, ঐতিহ্যবাহী ওষুধ, থাইচি এবং ক্যালিগ্রাফির মতো উপাদানগুলো বিদেশে জনপ্রিয়।
একই সময়ে, চীনা আধুনিক সংস্কৃতিও একটি সাধারণ প্রবণতা। ‘দ্য থ্রি-বডি প্রবলেম’ এবং ‘দ্য ওয়ান্ডারিং আর্থ’ এর মতো কাজগুলো আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে এবং ‘গেনশিন ইমপ্যাক্ট’-এর মতো চীনা গেমগুলো সফলভাবে বিদেশের বাজারে প্রবেশ করেছে। আরেকটি চালিকা শক্তি হল উন্নয়নের জন্য চীনের শক্তিশালী নতুন গতি, যার প্রভাব বিশ্বের জন্য আরও সুযোগ তৈরি করে। অনলাইন খুচরা প্ল্যাটফর্মের সাফল্য যেমন টেমু এবং শেইন সেইসাথে চীনা বৈদ্যুতিক যানবাহনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও এর ভাল উদাহরণ।