কেন চলতি বছরের দুই অধিবেশনে এসব শব্দ বেশি মনোযোগ পেয়েছে ?
চীনের রাজনৈতিক জীবনের একটি প্রধান ঘটনা হিসেবে, চীনের জাতীয় গণ-কংগ্রেস এনপিসি এবং জাতীয় গণ-রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলন সিপিপিসিসি’র অধিবেশন কেবল অভ্যন্তরীণ নীতি প্রণয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত নয়, আন্তর্জাতিক সমাজের জন্য চীনের উন্নয়নের দিকনির্দেশনা এবং কৌশলগত উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করার একটি গুরুত্বপূর্ণ জানালাও বটে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা, নতুন উৎপাদন শক্তি, উচ্চ-মানের উন্নয়ন, চীনের বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়ন এবং চীনের প্রধান কূটনীতির মতো বিষয়গুলো হট শব্দে পরিণত হয়েছে। কারণ এগুলো কেবল চীনের ভবিষ্যত উন্নয়নের সাথে সম্পর্কিত নয়, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কাঠামোর উপর গভীর প্রভাব ফেলে।
অর্থনৈতিক বৃদ্ধির লক্ষ্য
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে, চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য দেশে এবং বিদেশে ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। এই লক্ষ্যমাত্রা শুধুমাত্র চীনের নিজস্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মূল্যায়ন এবং প্রত্যাশাই প্রতিফলিত করে না, আন্তর্জাতিক বাজারে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকেতও পাঠায়। বর্তমান জটিল ও অস্থির বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে, চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যগুলো বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা এবং বাজারের আস্থাকে প্রভাবিত করেছে। মন্থর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার পটভূমিতে, কীভাবে চীনের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের ভিত্তি আরও মজবুত করা যায় এবং বিশ্বের জন্য আরও সুবিধা নিয়ে আসতে পারে আন্তর্জাতিক সমাজ সেদিকে গভীর মনোযোগ দিচ্ছে। তথ্যে দেখা যায় যে, চীনের অর্থনীতি ২০২৩ সালে পুনরুদ্ধার হয়েছে, জিডিপি বছরে ৫.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। চীনের অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে এবং চীন বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। চীন শুধু বৈশ্বিক উৎপাদনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তিই নয়, বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তা বাজারগুলোর মধ্যে একটি। এর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওঠানামা এবং নীতিগত পরিবর্তন নিঃসন্দেহে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দৃশ্যপটে গভীর প্রভাব ফেলবে।