আজকের টপিক- চীনের গ্রামীণ পুনরুজ্জীবন এগিয়ে নেওয়া
বন্ধুরা, সম্প্রতি ‘কার্যকরভাবে গ্রামীণ পুনরুজ্জীবন এগিয়ে নেয়া বিষয়ে সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটি ও রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলের মতামত’ প্রকাশিত হয়েছে। আমরা আজ এ নিয়ে আলাপ করব।
‘কার্যকরভাবে গ্রামীণ পুনরুজ্জীবন এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটি ও রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলের মতামত’ দলিল গ্রামাঞ্চলের সার্বিক পুনরুজ্জীবনে ফোকাস করে, তা বর্তমান ও ভবিষ্যতের ‘কৃষি, গ্রাম, ও কৃষক’ বিষয়ক কাজকর্মে ধারাবাহিক দিক-নির্দেশনা দিয়েছে। পাশাপাশি দলিলটি দেশের শস্য নিরাপত্তা ও গ্রামের শিল্প উন্নয়ন মান উন্নয়নের খাতসহ একাধিক খাতে ধারাবাহিক ব্যবস্থা নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণ কাজের বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃস্থানীয় গ্রুপ কার্যালয়ের পরিচালক হান ওয়েন সিউ জানান, দলিলটিতে সম্পূর্ণভাবে প্রতিফলিত হয়েছে যে, সিপিসি ‘কৃষি, গ্রাম ও কৃষক’ বিষয়ক কাজকর্মে অনেক গুরুত্ব দেয়। দলিল ব্যাপক কৃষকদের জন্য নববর্ষের ‘নীতিগত উপহার’ দিয়েছে।
বন্ধুরা, ‘কার্যকরভাবে গ্রামীণ পুনরুজ্জীবন এগিয়ে নেওয়া বিষয়ে সিপিসির কেন্দ্রীয় কমিটি ও রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলের মতামত’ দলিলে এ কয়কটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে:
প্রথমত, দেশের শস্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং দারিদ্র্যে প্রত্যাবর্তন এড়ানো নিশ্চিত করা।
শস্যের নিরাপত্তা হচ্ছে দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ২০২৩ সালে, চীনের শস্য উৎপাদনে ইতিহাসের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। যা অর্থনীতির অব্যাহত উন্নয়নে শক্তিশালী সমর্থন যুগিয়েছে।
দারিদ্র্যে প্রত্যাবর্তন এড়াতে, দেশে সংশ্লিষ্ট সমর্থন ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নসহ ধারাবাহিক নীতি ও পদক্ষেপ জোরদার করা হবে।
দ্বিতীয়ত, গ্রামের শিল্প উন্নয়ন, গ্রামের নির্মাণকাজ ও গ্রামীণ শাসনের মান উন্নত করা।
সুরেলা ও সুন্দর গ্রামের নির্মাণকাজ আরও দ্রুতগতিতে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে কৃষকদের প্রত্যাশা। দলিলটি গ্রামের শিল্প উন্নয়ন, গ্রামের নির্মাণকাজ ও গ্রামের শাসনের মান উন্নত করা- এ তিনটি বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। এসব খাত উন্নত করতে গ্রামের আধুনিক শিল্পব্যবস্থা দ্রুত নির্মাণ করা হবে, অব্যাহতভাবে গ্রামের অবকাঠামো, বসবাসের পরিবেশ ও গণ সেবা উন্নত করা হবে, গ্রামের সাংস্কৃতিক জীবনের মানও বাড়ানো হবে এবং গ্রামের সামাজিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
তৃতীয়ত, প্রযুক্তি ও সংস্কার-এ দুটি বিষয় জোরালো করা। কৃষকদের আয় বৃদ্ধি-বিষয়ক ব্যবস্থা জোরদার করা ।
প্রযুক্তি ও সংস্কার জোরালো করার খাতের গুরুত্ব হচ্ছে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও ব্যবস্থাগত উদ্ভাবনকে সমন্বিতভাবে এগিয়ে নেওয়া। যা গ্রামের পুনরুজ্জীবনের জন্য প্রাণশক্তি যোগাবে।
বন্ধুরা, কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করা হচ্ছে চীনের ‘কৃষি, গ্রাম ও কৃষক’ বিষয়ক কাজকর্মের কেন্দ্রীয় মিশন। সংশ্লিষ্ট তথ্যে দেখা যায়, ২০২৩ সালে গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দাদের মাথাপিছু আয় ২১ হাজার ৬৯১ ইউয়ান, যা ৭.৬ শতাংশ বেড়েছে। ‘কার্যকরভাবে গ্রামীণ পুনরুজ্জীবন এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটি ও রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলের মতামত’ দলিল ‘কৃষকদের আয় বৃদ্ধির’ বিষয়ে উচ্চ গুরুত্ব দেয়। এতে কৃষকদের বৈশিষ্ট্যময় কৃষি পণ্য চাষাবাদ ও খামারে পশুসম্পদ প্রজননে সমর্থন দেওয়াসহ ধারাবাহিক ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বন্ধুরা, গ্রামীণ পুনরুজ্জীবন এগিয়ে নেওয়ার খাতে চীন অবশ্যই অব্যাহতভাবে জোর দিয়ে কাজ করবে। এ খাতে বিশ্বের জন্যও চীন অবদান রাখবে।