প্রসঙ্গে: বিদেশী বন্ধু চীনে আসার জন্য ৫টি সুবিধাজনক ব্যবস্থা গ্রহণ চীনে
বিদেশ ভ্রমণে কি কি বিষয় আপনি বিবেচনা করেন? মনে হয় ভিসা, সেবা অবশ্যই আপনাদের বিবেচনার আওতায়। বিদেশীদের চীনে আসার জন্য সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে চীনের জাতীয় অভিবাসন প্রশাসন গত ১১ জানুয়ারি ৫টি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আজকের এ অনুষ্ঠানে আমরা এ বিষয় জেনে নেবো।
এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালে চীনের সীমান্তে মোট ২১ কোটি মানুষ প্রবেশ করেছেন, যা ২০১৯ সালের ৬২.৯ শতাংশ পুনরুদ্ধার হয়েছে। বিশ্ব আর্থ-বাণিজ্যিক উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পুনরুদ্ধার এবং আন্তঃদেশীয় মানুষের আদান-প্রদান চাঙ্গা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ২০২৪ সালে আগতদের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে অনুমান করছে জাতীয় অভিবাসন প্রশাসন।
এ প্রেক্ষাপটে চীনের উচ্চ মানের উন্মুক্তকরণ জোরদার করতে আরও ৫টি নতুন সুবিধাজনক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ৫টি ব্যবস্থা হলো: চীনে আসা বিদেশীদের বন্দর ভিসা আবেদনের শর্ত শিথিল করা হবে। বেইজিং ক্যাপিটল বিমান বন্দরসহ নানা হাবে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কোনো পরিদর্শন প্রক্রিয়া ছাড়া ট্র্যাজিট করা যায়। চীনে বিদেশীরা বসতির কাছে ভিসার মেয়াদী বাড়ানো ও ভিসা পরিবর্তন করতে পারেন। চীনে বিদেশীরা বেশ কয়েকবার ইমিগ্রশন করতে দরকার হলে আবার ইমিগ্রশন ভিসা আবেদন করতে পারেন। বিদেশীদের ভিসা আবদনে যে দলিল লাগে, সেগুলোর পরিমাণ কমানো হয়।
আসলে গত বছরে এ খাতে সংশ্লিষ্ট নীতি অব্যাহতভাবে সুবিন্যস্ত হয়ে আসছে। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে চীন একতরফাভাবে সিঙ্গাপুর ও বুনাইকে ভিসা-ফ্রির ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর চীন ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ড, স্পেন ও মালয়েশিয়াসহ ৬টি দেশকে ভিসা-ফ্রির সুবিধা দেয়।
২০২৪ সালের ১ মার্চ চীন ও থাইল্যান্ড পারস্পরিক নাগরিদের ভিসা ফ্রির সুবিধা প্রদান করে। অনুমান করা যায়, চলতি বছরের বসন্ত উত্সব চলকালে ভ্রমণ বাজার অণেক চাঙ্গা হবে।
সহজীকরণ ব্যবস্থার একটি সিরিজ প্রবর্তন উন্মুক্তকরণের প্রসারে চীনের আন্তরিকতা এবং দৃঢ়তার প্রতিফলন। এটা থেকে যে কল্যাণ বয়ে আনা হয়, তা কেবল পর্যটনে কল্যাণকর নয়। মানুষের আগমন বিভিন্ন প্রবাহের ভিত্তি। মানুষের মধ্যে কেবল যোগাযোগ করলে এবং পরস্পরকে বুঝতে পারেন এবং আরও বেশি খাতে সহযোগিতার জন্য অনুকূল শর্ত সৃষ্টি করা সম্ভব হয়। আমি আশা করি, বাংলাদেশি বন্ধুসহ আরও বেশি বিদেশী বন্ধু চীন সফর করবেন।