আজকের টপিক: কোকুন থেকে প্রজাপতিতে আবির্ভাব: মহামারীর পরে চীনের সিভিল এভিয়েশন শিল্প একটি নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে
জানুয়ারি ৯: চীনের সিভিল এভিয়েশন শিল্প ২০২৩ সালে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এই শিল্পের একটি মূল শব্দ হিসাবে, ‘বৃদ্ধি’ শুধুমাত্র যাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয় না, তবে শিল্পের সামগ্রিক শক্তির উন্নতি এবং ভবিষ্যতের উন্নয়নের সীমাহীন সম্ভাবনারও প্রতিনিধিত্ব করে।
‘অতীতের দিকে ফিরে তাকালে দেখা যায়, কোভিড-১৯ মহামারী বৈশ্বিক সিভিল এভিয়েশন শিল্পে অভূতপূর্ব প্রভাব ফেলেছিল। তবে, চীনের সিভিল এভিয়েশন নিজের দৃঢ় অধ্যবসায়ের মাধ্যমে এই সংকটে নিজের অবস্থান ঠিক রেখেছিল। পাশাপাশি, সংস্কারে যুগান্তকারী সাফল্য খুঁজে বের করেছে। মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণকালে চীনের সিভিল এভিয়েশন শিল্প সরকারের নির্দেশনা কাজে লাগিয়ে সর্বাত্মক মাত্রায় যাত্রীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করেছে। সেই সঙ্গে অব্যাহতভাবে এর সেবা প্রক্রিয়া সুবিন্যস্ত করেছে। ২০২৩ সালে চীনের সিভিল এভিয়েশন যাত্রী বাজারে দ্রুত পুনরুদ্ধার ও উন্নতি পেয়েছে। ‘ছু না এ’ ওয়েবসাইটের কর্মকর্তা জানান, ২০২৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের শুরু থেকে, চীনের সিভিল এভিয়েশনে যাত্রীর মোট সংখ্যা ইতোমধ্যে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে এবং ২০১৯ সালের একই সময়ের তুলনায় ছাড়িয়েছে। বর্তমানে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে চীনের সিভিল এভিয়েশন যাত্রীর সংখ্যা ৬২.৮ কোটি, যা ২০১৯ সালের তুলনায় ৯৫ শতাংশ বেশি।’
এখন, যাত্রীদের ভ্রমণের চাহিদা ধীরে ধীরে বেড়ে যাবার সাথে সাথে চীনের সিভিল এভিয়েশন শিল্প নতুন উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করছে। একদিকে, আন্তর্জাতিক রুট পুনরায় চালু করা আন্তর্জাতিক বিনিময় ও সহযোগিতাকে আরও উত্সাহিত করবে, যা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়ক; অন্যদিকে, অভ্যন্তরীণ বাজারে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, যা চীনের সিভিল এভিয়েশন শিল্পের জন্য বিস্তৃত উন্নয়নের স্থান প্রদান করে।
‘একই সঙ্গে, চীনের সিভিল এভিয়েশন শিল্পও সক্রিয়ভাবে নতুন উন্নয়ন অন্বেষণ করছে। ডিজিটালাইজেশন এবং বুদ্ধিমত্তার সাধারণ প্রবণতার অধীনে, চীনের সিভিল এভিয়েশন শিল্প প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং শিল্প আপগ্রেডিং ত্বরান্বিত করছে। উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি প্রবর্তনের মাধ্যমে, বিমান পরিচালনার দক্ষতা উন্নত করতে, যাত্রীদের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অপ্টিমাইজ করতে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার স্তর উন্নত করতে সক্ষম। অবশ্যই, চীনের সিভিল এভিয়েশন শিল্পও প্রবৃদ্ধি অর্জনের সময় অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। ক্রমবর্ধমান তীব্র আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা, পরিবেশ সুরক্ষার উপর ক্রমবর্ধমান চাপ এবং প্রতিভার ঘাটতিসহ বিভিন্ন বিষয়গুলো উপেক্ষা করা যায় না। নতুন বছর চীনের সিভিল এভিয়েশন শিল্প পুনরুদ্ধারের বিষয়ে আশাবাদী এই খাতের কর্তৃপক্ষ। একাধিক ভ্রমণ প্ল্যাটফর্মের ডেটাতে দেখা যায় যে, ২০২৪ সালের নববর্ষের দিন এবং বসন্ত উত্সবের বিমান টিকিটের জন্য ওয়েবসাইটে অনুসন্ধান এবং বুকিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে। বিশেষ করে সম্প্রতি ঘোষিত ছয়টি দেশের জন্য ভিসা ছাড়সহ বেশ কিছু দেশের সাথে চীনের পারস্পরিক ভিসা ছাড়ের প্রবর্তনের অনুকূল নীতি উদ্দীপিত হওয়ায় বিদেশে যাতায়াতের বুকিং বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত, নববর্ষের ছুটির দিনে অভ্যন্তরীণ বিমান টিকিট বুকিং ১২ লাখ বেশি, যা এক সপ্তাহ আগের তুলনায় ৪৫ শতাংশ বেড়েছে, যা গেল বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেশি। একই সময় বিদেশে যাতায়াতের বিমান বুকিংয়ের সংখ্যা ৩ লাখ ৪০ হাজার বেশি, যা এক সপ্তাহ আগের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি। সুতরাং, চীনের সিভিল এভিয়েশন শিল্পের উচিত আন্তর্জাতিক সহকর্মীদের বিনিময় ও সহযোগিতা আরও জোরদার করা, যাতে সম্মিলিতভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যায় এবং পারস্পরিক কল্যাণ বাস্তবায়ন করা যায়।
অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং প্রযুক্তিগত নব্যতাপ্রবর্তনের পাশাপাশি, চীনের সিভিল এভিয়েশন শিল্প অব্যাহতভাবে নিজের ব্যবসার ক্ষেত্র প্রসারিত করবে, পরিষেবার মান উন্নত করবে এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বাড়াবে। এটি বৈশ্বিক বিমান পরিচালনার সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখবে।
আমি বিশ্বাস করি যে চীনের সিভিল এভিয়েশন জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই শিল্প অবশ্যই নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে এবং বৈশ্বিক এভিয়েশন শিল্পের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখবে।