চীনা অর্থনীতির অব্যাহত পুনরুদ্ধার ও উন্নয়ন
কৃষিখাতে বিভিন্ন স্থানের শরত্কালীন খাদ্যশস্য কেনা সুশৃঙ্খলভাবে চলছে। জাতীয় খাদ্যশস্য ও উপাদান রিজার্ভ ব্যুরোর সর্বশেষ খবরে বলা হয়, এ পর্যন্ত প্রধান উত্পাদন এলাকায় ৬০ মিলিয়ন টন শরতকালীন শস্য কেনা হয়েছে। এ বছর বিভিন্ন স্থানে অনলাইন বুকিং ও খাদ্যশস্য উত্পাদনের পর পরিষেবা কেন্দ্র গড়ে তোলাসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়ে খাদ্যশস্য মজুদের ক্ষমতা উন্নীত করা হয়েছে।
কর্মসংস্থান হলো সবচেয়ে মৌলিক জীবিকা এবং অর্থনীতি উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক। এ বছর চীনের কর্মসংস্থানের অবস্থা উন্নত হয়েছে। মানবসম্পদ ও সামাজিক নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত পরিসংখ্যানে বলা হয়, গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চীনে ১.০২২ কোটি নতুন শহুরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। যা বার্ষিক লক্ষ্যের ৮৫ শতাংশ সম্পূর্ণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক ও অন্যান্য তরুণদের কর্মসংস্থান মূলত স্থিতিশীল। গ্রামীণ শ্রম অভিবাসনের মাত্রা বাড়তে থাকে। দারিদ্র্য থেকে বের হয়ে আসা ৩.২৯৭ কোটি মানুষ কাজের মাধ্যমে তাদের আয় বাড়িয়েছে।
সম্প্রতি অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য তাদের পূর্বাভাস বাড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ২০২৩ সালের জন্য চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫.৪ শতাংশে উন্নীত করেছে। ইউবিএস (UBS), ডয়েচে ব্যাংক (Deutsche Bank) ও জেপি মরগান চেজ (JPMorgan Chase) সবাই এই বছর চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য তাদের পূর্বাভাস ৫.২ শতাংশে এ উন্নীত করেছে।
পাশাপাশি, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের প্রভাব দেখা যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতার ব্যবস্থা গড়ে তোলার ভিত্তিতে চীন বাণিজ্যিক ব্যয় হ্রাস করা এবং সুবিধা বাড়ানোর মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্যের কাঠামো উন্নীত করছে।
এ বছর চীনের অর্থনীতি বাহ্যিক ঝুঁকির চ্যালেঞ্জ ও নানা অভ্যন্তরীণ কারণে নিম্নমুখী চাপ সহ্য করেও ধীরে ধীরে বাড়ছে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চীনের জিডিপি ৫.২ শতাংশ বেড়েছে। এটি বিশ্বের প্রধান অর্থনৈতিক সত্তাগুলোর মধ্যে স্থান পেয়েছে। ২০২৪ সালে চীনের অর্থনীতিতে বিশ্ববাসীর আস্থা বাড়ছে।
মুক্তা, সিএমজি, বেইজিং থেকে।