মার্কিন প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং
এসব তথ্য থেকে বোঝা যায়, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতার চাহিদা এখনও বেশি।
২. সক্রিয় বেসরকারি আদান-প্রদান
২৩ অক্টোবর ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউজম এক সপ্তাহের মতো চীনে সফর করেন। তিনি হংকং, বেইজিং, শাংহাই, কুয়াং তুং ও চিয়াংসুসহ নানা জায়গায় যান।
তার এ সফরকে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্থানীয় যোগাযোগের "বরফ ভাঙার ট্রিপ" হিসেবে মনে করা হয়।
আর একই সময়ে মার্কিন ফ্লাইং টাইগারস পুরাতন সৈনিক হ্যারি মোয়ার চীনে তার ১০৩তম জন্মদিন উদযাপন করেছেন। এই শতবর্ষী প্রবীণ জন্মদিনে এমন প্রত্যাশা করেন: "আমি বিশ্বশান্তি কামনা করি এবং সব দেশের মানুষ যেন সম্প্রীতিতে বাস করে।"
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের ভাল সম্পর্ক বজায় রাখা দু’দেশের মানুষের অভিন্ন প্রত্যাশা।
৩. যুক্তরাষ্ট্রকে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে হবে
চীন–যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদের বৈঠক বিশ্বের প্রত্যাশায় সাড়া দিয়েছে। তবে, দু’দেশের জন্য সমান ও পরস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে স্থিতিশীল সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।
বালি দ্বীপের মতৈক্য বাস্তবায়ন করেনি যুক্তরাষ্ট্র। চীনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে দমনাভিযান করছে, দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যু ও তাইওয়ান সমস্যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কথা ও কাজে এক নয়।
দু’দেশের প্রেসিডেন্ট দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা করবেন এবং আমরা জানি কথার চেয়ে কাজ আরও গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু দু’দেশের সম্পর্কে কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে; সেহেতু যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের উদ্বেগ নিরসনে বাস্তব ও দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে এবং তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে।