মন্থর বিশ্ব অর্থনীতিতে চীনের অর্থনীতি দুর্দান্ত সম্ভাবনা দেখায়
যদিও পশ্চিমা মিডিয়া মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে এই সত্য ঢেকে রাখে, তারপরও চীনের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক তথ্যে দেখা গেছে যে, বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও, চীনা অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হচ্ছে। এ সময় ভোক্তা ব্যয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ৮৩.২ শতাংশ অবদান রেখেছে। সরকারি তথ্যে দেখা গেছে যে চীনের জিডিপি জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪.৯ শতাংশ এবং প্রথম নয় মাসে ৫.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করেছে। অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান অনুসারে, টেকসই উন্নয়ন অর্জনে চীন বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করেছে।
২০২৩ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে প্রত্যাশিত জিডিপি বৃদ্ধির পরে, জে পি মরগ্যান, সিটি গ্রুপ, ইউবিএস এবং জাপানি আর্থিক পরিষেবা সংস্থা নোমুরা-সহ বড় আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি ২০২৩ সালের মধ্যে চীনের জন্য তাদের বৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়িয়েছে। চীন সরকার জানিয়েছে যে, দেশের উৎপাদন শিল্পকে আরও আন্তর্জাতিক কোম্পানির জন্য উন্মুক্ত করবে। রাষ্ট্রীয় পরিষদের মূল্যায়ন অনুসারে, চীনের আর্থিক শিল্প সামষ্টিক অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবে এবং প্রকৃত অর্থনীতিকে সমর্থন করার ক্ষমতা উন্নত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন যে, চীনের উচ্চমানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নমনীয় অর্থনৈতিক কৌশল, সহায়ক ও দ্রুত নীতি, সবুজ রূপান্তর এবং ক্রমাগত ভোক্তা উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে। চীনের বাস্তববাদ এবং নীতির বুদ্ধিমত্তা দেশের অর্থনৈতিক শক্তি এবং সরবরাহ শৃঙ্খলা স্থিতিশীল করার ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলির আস্থা বাড়িয়েছে। শিল্প ও বাণিজ্য সমন্বয়, পরিমিত উদ্দীপনা এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা সুফল দিচ্ছে।