দশ বছরে চীনের অবাধ বাণিজ্য এলাকা উন্নয়নের অভিজ্ঞতা
মূলত, ২১টি অবাধ্য বাণিজ্য এলাকা দেশের চার হাজারতম আয়তন দিয়ে দেশের ১৮.৪ শতাংশ বৈদেশিক পুঁজি ও ১৮.৬ শতাংশের আমদানি-রপ্তানি বাস্তবায়ন করেছে। আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, দশ বছরে এসব অবাধ্য বাণিজ্য এলাকা ব্যবস্থাগত উদ্ভাবনে অনেক সুফল সৃষ্টি করেছে এবং তা সারা দেশে চালু করেছে।
দ্বিতীয় বিষয় হল, চীনের অবাধ বাণিজ্য এলাকার দশ বছরের সুফলকে কিভাবে মূল্যায়ন করা যায়?
প্রথমত, অবাধ বাণিজ্য এলাকা ব্যবস্থাগত উদ্ভাবনে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেছে। এসব সংস্কার পুঁজি বিনিয়োগের সুবিধাকরণ, বাণিজ্যের সুবিধাকরণ, আর্থিক খাতের উন্মুক্তকরণ, তত্ত্বাবধান বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যায়। আর বিভিন্ন অবাধ বাণিজ্যিক এলাকা নিজ নিজ অবস্থা অনুযায়ী উপযোগী বিভিন্ন সংস্কার চালু করেছে। যা দেশের সার্বিক সংস্কার এবং উচ্চ মানের উন্মুক্তকরণে মূল্যবান অভিজ্ঞতা যুগিয়েছে।
এ ছাড়া, দশ বছরে ২১টি অবাধ্য বাণিজ্যিক এলাকায় পুঁজি আকর্ষণ, বিশেষ করে হাইটেক শিল্পে বৈদেশিক পুঁজির বরাদ্দ জোরদার করায় অতুলনীয় ভূমিকা পালন করেছে।
তৃতীয় বিষয় হল, অবাধ্য বাণিজ্য এলাকা কিভাবে উচ্চ মানের উন্মুক্তকরণ ও সংস্কার বাড়াতে পারে?
প্রথমত, ভবিষ্যতে চীন অব্যাহতভাবে উচ্চ মানের উন্মুক্তকরণের মঞ্চ নির্মাণ জোরদার করবে। এ ছাড়া ভবিষ্যত নিয়ম, পরিচালনা, মানদণ্ডসহ ব্যবস্থাগত কাজ আরো সম্প্রসারণ করবে। পরবর্তীতে চীন ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের উচ্চ মানের উন্নয়ন আরো জোরদার করবে, বিশেষ করে সেবা বাণিজ্য, ডিজিটাল বাণিজ্য, মেধাস্বত্ব, সরকারি ক্রয়সহ বিভিন্ন নিয়মের গবেষণা ও সংস্কারে অবাধ বাণিজ্য এলাকা ভালো ভূমিকা রাখতে পারে।
সবশেষে, চীন বাণিজ্যিক পরিবেশ উন্নত করার চেষ্টা করে যাবে। যাতে চীনকে পুঁজি বিনিয়োগের ভালো জায়গা হিসেবে উন্নত করা যায়।