সিনচিয়াং নিয়ে বিশেষ কর্মসভায় প্রাপ্ত তথ্য ও প্রসঙ্গকথা
এ ছাড়া, এবার সিনচিয়াং কর্মসভায় আরেকটি তথ্য জানা যায়, তা হল, সিনচিয়াং-এর উন্নয়নের ওপর সরকার খুব গুরুত্ব দিচ্ছে। মূল কথায়, উন্নয়ন হল সিনচিয়াং সমস্যা সমাধানের মূল উপায় এবং সিনচিয়াংয়ের দীর্ঘস্থায়ী নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।
২০১৪ সালে সি চিন পিং সিনচিয়াং পরিদর্শনের সময় বলেছিলেন, যদি রেশমপথ অর্থনৈতিক এলাকা স্থাপন করা যায়, তাহলে সিনচিয়াং সমৃদ্ধির কেন্দ্রে পরিণত হবে। তার এক মাস পর, সি চিন পিং আবারও সিপিসি-র কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সম্মেলনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, সিনচিয়াংকে রেশমপথ অর্থনৈতিক এলাকার কেন্দ্র হিসেবে উন্নয়ন করতে হবে। এর সঙ্গে সরকার আরও স্পষ্টভাবে সিদ্ধান্ত নেয় যে, সিনচিয়াংয়ের আঞ্চলিক সুবিধা কাজে লাগিয়ে, রেশমপথ অর্থনৈতিক এলাকার মূল অংশ হিসেবে, সিনচিয়াংকে অভ্যন্তরীণ উন্মুক্ততা ও সীমান্তে উন্মুক্ততার একটি উচ্চভূমিতে পরিণত করতে হবে।
এসব নীতির আলোকে, সিনচিয়াং-এ বৈশিষ্ট্যময় আধুনিক শিল্পব্যবস্থা গড়ে উঠেছে, আধুনিক কৃষি ও ফটোভোলটাইক্সের মতো শিল্পপার্ক বিকশিত হচ্ছে, এখন সিনচিয়াংয়ের সাথে মূল ভূখণ্ডের শিল্পসহযোগিতা ও কর্মীবিনিময় আরও জোরদার হচ্ছে; সিনচিয়াংয়ের উন্নয়নের পথ আরও মসৃণ হচ্ছে।
মোদ্দাকথা, এবারের কর্মসভায় সিনচিয়াংয়ের সমাজের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়েরও ওপর বেশ গুরুতারোপ করা হয়। আমরা আশা করি, সরকার থেকে বেসরকারি পর্যায় পর্যন্ত, বিভিন্ন স্তরের চেষ্টায় সিনচিয়াং উন্নয়নের পথ ধরে সামনে এগিয়ে যাবে।