বাংলা

বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য চীনের সরকারি বৃত্তি প্রসঙ্গ

CMGPublished: 2023-08-11 14:25:46
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

চীনে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকোলাস বার্নস এর জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি মনে করেন, দু’দেশের তরুণ-তরুণীদের পারস্পরিক বোঝাপড়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন শিক্ষার্থীদের চীনা ভাষা শেখা ও চীনের জীবনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো তাদেরকে চীনের সমাজ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে সাহায্য করতে পারে। ভবিষ্যতে তাঁরা বেসরকারি সংস্থা বা সরকারি সংস্থায় কাজও করতে পারেন ও দু’দেশের সহযোগিতায় সক্রিয় অবদান রাখতে পারেন।

তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শিক্ষার্থী বিনিময়ে কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। এমন অবস্থা শুধু দু’দেশের তরুণ-তরুণীদের বিনিময়কে বাধাগ্রস্ত করছে না, বরং দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার পথেও বাধা সৃষ্টি করছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দশ বছর আগে চীনে মার্কিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১৫ হাজার। বর্তমানে তা অনেক কম। এদিকে, চীনের বিশ্ববিদ্যালয় ও বৃত্তি আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা ও এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের কাছে বেশ আকর্ষণীয় হচ্ছে। এতে প্রমাণিত হয় যে, চীনের উচ্চশিক্ষাব্যবস্থা ও লেখাপড়ার পরিবেশ বিশ্বের স্বীকৃতি পেয়েছে।

যদিও বর্তমানের পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জিং, তবে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শিক্ষার্থী বিনিময় বাড়ানো দরকার। বিষয়টা শুধু ব্যক্তিগত অর্জন ও উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত নয়, বরং তা দু’দেশের জনগণের উপলব্ধি ও মৈত্রী জোরদার করতে পারে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন ও ভবিষ্যতের সহযোগিতার ভিত্তি স্থাপন করতেও এটি জরুরি। বর্তমান পরিস্থিতি যত কঠিনই হোক না কেন, আমাদের উচিত শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের শক্তিতে আস্থা রাখা।

চীনের দরজা সবসময় যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য খোলা আছে। উন্মুক্তকরণের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে, চীন সক্রিয়ভাবে বিশ্বের সঙ্গে বিনিময় বাড়াচ্ছে এবং বিদেশীদের ক্রমবর্ধমান হারে বৃত্তি দিয়ে যাচ্ছে। এতে বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শিক্ষা বিনিময় ত্বরান্বিত হচ্ছে, আরও বেশি মানুষ ভিন্ন সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার সুযোগ পাচ্ছে, যা বিশ্বের বহুমুখী উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে পারে।

চীনের কাছে, বিদেশে যাওয়া চীনা শিক্ষার্থীরা দেশের সংস্কৃতিকে সাথে করে নিয়ে যায় এবং অন্য দেশের সভ্যতাকে ফেরার পথে সাথে করে চীনে নিয়ে আসে। আর চীনে অধ্যায়নরত বিদেশী শিক্ষার্থীরা চীনের সভ্যতা সম্পর্কে জানতে পারে, নিজ দেশের সংস্কৃতিকে চীনে ছড়িয়ে দিতে পারে, নিজ দেশের উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। বস্তুত, উন্মুক্ত মনোভাব নিয়ে, বিশ্বের বিভিন্ন সভ্যতার মধ্যে দেয়া-নেয়া বাড়াতে চীন সবসময় সচেষ্ট আছে।

首页上一页12 2

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn