আজকের টপিক: হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ-কাজ জোরদার করা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানো দরকার
জুলাই ২৬: এ বছর বিশ্বের আবহাওয়া ক্রমেই উষ্ণ হয়েছে। বেইজিং একাধিকবার উচ্চ তাপমাত্রার সতর্কতা জারি করেছে। বাংলাদেশে হিট স্ট্রোক সমস্যাও গুরুতর হয়ে উঠেছে। এ ঘটনা পুনরায় আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে, হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ করা এবং বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করা খুবই জরুরি।
হিটস্ট্রোক প্রতিরোধ একটি সমস্যা যা আমাদের অবশ্যই গরম আবহাওয়ার বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণ করে। হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে আমাদের বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
‘প্রথমত, প্রচুর পানি পান করা উচিত। শরীরে পানির অভাব পূরণ করা উচিত। মনে রাখবেন, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গরম আবহাওয়ায়, প্রচুর ঘামের ফলে শরীরের পানি কমে যায়। তাই, প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। বিশেষ করে, বাইরে কাজ করা মানুষদের জন্য প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা জরুরি।
দ্বিতীয়ত, উত্তপ্ত সূর্যালোক এড়িয়ে চলুন। ঢিলেঢালা পোশাক পরুন এবং সরাসরি রোদ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য একটি টুপি ও সানগ্লাস পরুন। এ ছাড়া, বাইরের কাজের সময় নিজেকে সুসংহতভাবে সাজান, দুপুরের উচ্চ তাপমাত্রার সময় বাইরে না যাওয়াই ভাল। পরিশেষে, ঘরে প্রচুর বাতাস চলাচল বজায় রাখুন, ভালমতো বিশ্রাম নিন এবং হালকা খাবার বেছে নেওয়ার চেষ্টা করুন’।
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে বিভিন্ন দেশ সবাই এর গুরুত্ব উপলব্ধি করেছে এবং সক্রিয় পদক্ষেপ নিয়েছে ও নিচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার চাবিকাঠি হচ্ছে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা। বিভিন্ন দেশও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করেছে, যাতে জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা মোকাবিলা করা যায়।
‘অনেক দেশ কার্বন নির্গমন হ্রাস করার লক্ষ্য এবং পরিবেশ আইন-বিধি নির্ধারণ করেছে, যাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন এবং সবুজ ও নিম্ন কার্বন রূপান্তর এগিয়ে নেওয়া যায়। পাশাপাশি, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সাহায্য করতে প্রযুক্তিগত রূপান্তর এবং জলবায়ু অর্থ সহায়তাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করেছে সংশ্লিষ্ট দেশ। এ ছাড়া, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ব্যবস্থাও শক্তিশালী করা হয়েছে। যেমন, জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কাঠামোগত কনভেনশন ও প্যারিস চুক্তি প্রভৃতি। এটি আন্তর্জাতিক সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতার প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টি করেছে। এসব ব্যবস্থার মাধ্যমে অভিজ্ঞতা, প্রযুক্তি ও সম্পদ ভাগ করে সম্মিলিতভাবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার শ্রেষ্ঠ উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে বিভিন্ন দেশ। তবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার মিশনটি আরও কঠিন। এই প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন দেশের অব্যাহত চেষ্টা করা দরকার। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং যৌথ প্রচেষ্টা করলেই কেবল আরও কার্যকরভাবে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকিবিলা করা যাবে। এভাবে অবিরাম উন্নয়নের লক্ষ্যটি বাস্তবায়ন করা যায়।