প্রসঙ্গ: গ্রীষ্মকালীন দাভোস ফোরাম ও বৈশ্বিক সহযোগিতা
ফোরামে বিশ্ব অর্থনীতি ফোরামের চেয়ারম্যান ক্লাউস শোয়াব বলেন, এ বছর চীনের জিডিপি ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। চীনের উন্নয়ন থেকে গোটা বিশ্ব উপকৃত হবে। চীনের বেশকিছু পদক্ষেপ বিশ্বায়নে আস্থা যুগিয়েছে।
আমরা জানি, ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর জন্য বাস্তব উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি চালু হওয়া জাকার্তা-বান্দুং দ্রুতগতির রেলপথ ইন্দোনেশিয়ায় ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। ছয় বছর আগে চালু হওয়া মোম্বাসা-নাইরোবি স্ট্যান্ডার্ড গেজ রেলওয়ে ৭০ হাজার স্থানীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে।
বিশ্বায়নের তীব্রতা উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে। উন্নত দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোর চাহিদা নিয়ে ক্রমবর্ধমান হারে রাজনীতি করছে। এ ধরণের উন্নয়নের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহযোগিতার মাধ্যমে সংঘাত মোকাবিলা করতে হবে। প্রথমত, বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে হবে; দ্বিতীয়ত, দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা জোরদার ও আধিপত্যবাদের বিরোধিতা করতে হবে; তৃতীয়ত, বিশ্বায়নে অংশ নিয়ে উন্নত প্রযুক্তি, অভিজ্ঞতা ও অর্থ অর্জন করতে হবে।
এবারের গ্রীষ্মকালীন দাভোস ফোরাম চীনে আয়োজিত হয়। চীন পুনরায় অব্যাহতভাবে উচ্চস্তরের বৈদেশিক উন্মুক্তকরণ উন্নয়নের কথা জোর দিয়ে বলেছে। এটি দুর্বল বিশ্ব অর্থনীতিতে আশার সঞ্চর করেছে। অংশগ্রহণকারীরা মনে করেন, চীন বাজারের আকার আরও প্রসারিত করবে, সহযোগিতার সুযোগ সৃষ্টি করবে, এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও প্রবৃদ্ধির জন্য একটি শক্তিশালী প্রেরণা যোগাবে।