নতুন যুগ, নতুন পেশা, নতুন সুযোগ
১৯৯৯ সালে চীন প্রথমবারের মত পেশার শ্রেণী নির্ধারণ করেছিল। এর ২০ বছর পর চীন আবারও তা সংশোধন করেছে। এতে চীনের পেশার শ্রেণীকরণের পরিবর্তন ঘটেছে। যা চীনের অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নের প্রতিফলন ঘটায়।
নতুন পেশা নতুন প্রযুক্তি, নতুন প্রবণতা এবং নতুন চাহিদার প্রতিফলন করে। যেমন ডিজিটাল পেশার খাতে, নতুন পেশার মধ্যমে প্রথমবারের মত ডিজিটাল পেশার ক্যাটাগরি যোগ করা হয়েছে। রোবট প্রকল্পের প্রকৌশলী, ডেটা পরিচালনার কর্মী ইত্যাদি পেশা আছে। ২০২১ সালে চীনের ডিজিটাল অর্থনীতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৫.৫ ট্রিলিয়ন ইউয়ান, যা জিডিপির ৩৯.৮ শতাংশ। বলা যায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনে নতুন পেশা দ্রুত জন্ম হচ্ছে, তা ঠিক চীনের অর্থনীতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বহুমুখী সামর্থ্য বৃদ্ধির সাফল্য। অর্থনীতির কাঠামো অব্যাহতভাবে সুসংহত হচ্ছে, নতুন পেশা ও নতুন শিল্পও সুষ্ঠুভাবে উন্নত হতে পারে।
এ ছাড়া, নতুন পেশা অর্থনীতি উন্নয়নে নতুন শক্তি যোগাচ্ছে। একদিকে নতুন পেশা লোকজনের উন্নয়নের নতুন সুযোগ ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। অন্যদিকে আরো বেশি শ্রেষ্ঠ মানবসম্পদ সংশ্লিষ্ট খাতে কাজ করছে, সেইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিল্পের দ্রুত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
সম্প্রতি চায়না মিডিয়া গ্রুপের সিজিটিএন সারা বিশ্বের নেটিজেনের জন্য করা এক গণ জরিপ থেকে জানা যায়, ৮৮.৪ শতাংশ মানুষ মনে করে, চীনের মানবসম্পদ অর্থনীতির উচ্চ মানের উন্নয়ন বাস্তবায়ন করতে পারে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন বিজ্ঞান ও শিক্ষা খাতে আরো বেশি বরাদ্দ দিচ্ছে, শ্রমিকের গুণগতমান অনেক বেড়েছে। নতুন পেশা জন্মের সঙ্গে সঙ্গে নতুন মানবসম্পদের লালন করা হচ্ছে। যা ঠিক চীনের উচ্চ মানের উন্নয়নের চালিকাশক্তি ও নিশ্চয়তা। অনেক নেটিজেন মনে করে, চীন বিশ্বের উচ্চ মানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দেশ। এতে বৈজ্ঞানিক মানবসম্পদ লালন করা যায়। এভাবে চীনের উচ্চ মানের উন্নয়ন নিশ্চয় বাস্তবায়িত হবে।
নতুন যুগ সমাজকে আরো প্রাণচঞ্চল করে, নতুন পেশা নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে। চীন জনবহুল একটি দেশ, এখন এই বিশাল জনসংখ্যাকে শ্রেষ্ঠ মানবসম্পদে রূপান্তর করছে চীন। নীতিগত সুবিধার ফলে, নতুন মানবসম্পদ আরো বিরাট উন্নয়নের সুযোগ পাবে, আর তারা নিশ্চয় দেশের অর্থনীতির উচ্চ মানের উন্নয়নে শক্তি যোগাবে।