চীনের নানা বৈচিত্র্যময় অর্থনীতি
এপ্রিল ৪: দেখতে দেখতে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক শেষ হয়ে গেল। চীনের বিভিন্ন স্থানে ‘বসন্ত অর্থনীতিকে’ কেন্দ্র করে বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য আরো জোরদার করা হয়েছে। চীনে মহামারি প্রতিরোধ নীতি সুবিন্যস্ত করা এবং মানুষের জীবন স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরো ‘বৈশিষ্ট্যময় অর্থনীতি’ দেখা যাচ্ছে। যা ভোগ বাজারকে আরো সমৃদ্ধ করছে। আজ এই বিষয়ে আপনাদের সঙ্গে কথা বলবো।
বসন্তকালে ফুল উপভোগের অর্থনীতি অনেক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বসন্তকালে লোকজন বাইরে গিয়ে ফুল উপভোগ করতে ও ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করে। বেইজিংয়ের মহাপ্রাচীরের কাছে যাত্রীরা ট্রেনে করে ফুলের সমুদ্র পার হচ্ছে। কান সু প্রদেশের পাহাড়জুড়ে পিচ ফুল বসন্তকালকে আরো সুন্দর করে সাজিয়েছে। এক একটি ট্রেন পার হচ্ছে। অনেক পর্যটক ফুল দেখে ও ছবি তোলে। তারা বসন্তকালের সুন্দর সময় কাটায়।
এ ছাড়া চীনে বিভিন্ন জায়গায় নৈশ অর্থনীতি জমজমাট হয়ে উঠছে। রাতে মানুষের জীবন বৈচিত্র্যময় হচ্ছে। চীনের হু নান প্রদেশের ছাংশা শহরে নৈশ অর্থনীতি পুরো শহরের সার্বিক ভোগের পরিমাণের ৬০ শতাংশেরও বেশি। রাতের খাবার, রাতের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, রাতের দৃশ্য এবং রাতের কেনাকাটা, সবকিছু মিলিয়ে রাতের বাজার আরো রঙিন হয়ে উঠছে।
আমরা দেখতে পারি, অর্থনীতির আরও নতুন ধরন দেখা যাচ্ছে, ২৪ ঘন্টার বইয়ের দোকান এবং জিম মানুষের বৈচিত্র্যময় ভোগের চাহিদা মেটাচ্ছে।
এসব নতুন অর্থনীতির ধরণকে বলা হয় ‘বৈশিষ্ট্যময় অর্থনীতি’। যা আরো বেশি ভোগের চাহিদা মেটাতে পারে। যা বাজারের আস্থা পুনরুদ্ধার করা, শহরকে আরো প্রাণচঞ্চল করা এবং ভোগ বাড়াতে সাহায্য করে। বর্তমানে নৈশ অর্থনীতি চীনাদের কাছে অনেক পরিচিত হয়ে উঠেছে। ২০১৬ সাল থেকে তা দ্রুত বাড়ছে। ইতোমধ্যে তা অনেক জায়গার সরকারের ভোগ বাজারকে উন্নত করার প্রধান ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। iResearch রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ২০২২ সালে চীনের নৈশ অর্থনীতির পরিমাণ ৪০ ট্রিলিয়ন ইউয়ানেরও বেশি হয়েছে।