বাংলা

গুণগত মানসম্পন্ন উন্নয়নের ওপর সি চিন পিং কেন এত গুরুত্বারোপ করেন?

CMGPublished: 2023-03-06 14:46:08
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

গত ৫ মার্চ চীনের সর্বোচ্চ আইন প্রণয়নকারী সংস্থা জাতীয় গণকংগ্রেসের বার্ষিক সম্মেলন বেইজিংয়ে উদ্বোধন হয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এদিন চিয়াং সু প্রদেশের প্রতিনিধি দলের সরকারী কর্মপ্রতিবেদন পর্যালোচনায় অংশ নিয়েছেন। তাতে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি আবারও গুণগত মানসম্পন্ন উন্নয়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন। প্রেসিডেন্ট সি কেন গুণগত মানসম্পন্ন উন্নয়নের ওপর এত গুরুত্বারোপ করেন? গুণগত মানসম্পন্ন উন্নয়নের চূড়ান্ত লক্ষ্য কী? এ নিয়ে আমরা কথা বলবো আজকের এ বিশেষ ভিডিও অনুষ্ঠানে।

সি চিন পিং কেন চিয়াং সু প্রদেশের প্রতিনিধি দলের পর্যালোচনায় অংশ নিলেন? সি চি পিংও চীনের জাতীয় গণকংগ্রেসের একজন প্রতিনিধি। তিনি চিয়াং সু প্রদেশের প্রতিনিধি দলের একজন সদস্য। তাই এ সম্মেলনের প্রক্রিয়া অনুযায়ী, তিনি এদিন চিয়াং সু প্রদেশের প্রতিনিধি দলের সকলের সঙ্গে মিলে সরকারী কর্মপ্রতিবেদন পর্যালোচনায় বসেন।

গুণগত মানসম্পন্ন উন্নয়নের ওপর সি চিন পিং গুরুত্বারোপ করেন কেন? পর্যালোচনায় সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, “গুণগত মানসম্পন্ন উন্নয়ন সার্বিকভাবে সমাজতান্ত্রিক আধুনিক দেশ গঠনের প্রথম কর্তব্য। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সি চিন পিং বহুবার গুণগত মানসম্পন্ন উন্নয়নের গুরুত্বের কথা ব্যক্ত করেছেন। কেবল চলতি বছর তিনি বেশ কয়েকটি সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের নির্দেশনা দিয়েছেন। গুণগত মানসম্পন্ন উন্নয়ন সি চিন পিং’র অর্থনৈতিক চিন্তা’র গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যার লক্ষ্য চীনের অর্থনীতিকে আরও উন্নত করা। উল্লেখ্য যে উচ্চ মানের বিজ্ঞান-প্রযুক্তির স্ব-নির্ভরতা বাস্তবায়ন বেগবান করা গুণগত মানসম্পন্ন উন্নয়নে প্রাধান্য পায়। সি চিন পিং বলেছেন, এটি গুণগত মানসম্পন্ন উন্নয়নের অপরিহার্য পথ এবং চীনকে সময়মতো সার্বিক আধুনিক শক্তিশালী দেশে পরিণত করার চাবিকাঠি।

তুমুল আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার মাঝে যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্র দেশগুলোকে নিয়ে চীনের হাইটেক খাতকে রোধ করে আসছে এবং ইচ্ছামতো চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কালো তালিকাভুক্ত করছে। চীনের অর্থনীতির গুণগত মানসম্পন্ন উন্নয়ন সাধিত হবে মূলত বিজ্ঞান-প্রযুক্তির উদ্ভাবনের ওপর নির্ভর করে।

চীন কীভাবে গুণগত মানসম্পন্ন উন্নয়ন সাধন করবে? এদিনের ভাষণে গুণগত মানসম্পন্ন উন্নয়ন নিয়ে সি চিন পিং তাঁর চিন্তাভাবনা তুলে ধরেন। তিনি মনে করেন, চীনকে দ্রুত উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে উন্নয়ন সাধনের কৌশল কার্যকর করতে হবে এবং শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে উদ্ভাবনশীল ও শীর্ষ বৈজ্ঞানিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে, যাতে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির সাফল্যের রূপান্তর এবং শিল্পায়নের মান উন্নত এবং বৈশ্বিক প্রভাবশালী উদ্ভাবনের নতুন কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে চীন।

চীনের গুণগত মানসম্পন্ন উন্নয়নের চূড়ান্ত লক্ষ্য কী? চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং’র চোখে গুণগত মানসম্পন্ন উন্নয়নের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো মানুষের সুখ ও সুস্থতা নিশ্চিত করা। ‘মানুষ সত্য’ হলো সি চিন পিং’র রাষ্ট্র প্রশাসনের মূল দর্শন। প্রতিবছর জাতীয় গণকংগ্রেস ও জাতীয় রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের বার্ষিক অধিবেশনে উপস্থিত থাকার সময় তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলতে পছন্দ করেন সি চিন পিং। তিনি তাদের কর্মজীবন ও জীবনযাত্রা, গণজীবিকার নিশ্চয়তা, তৃণমূল প্রশাসনসহ নানা বিষয়ে খোঁজখবর নেন। তিনি নিজেকে জনগণের সেবক হিসেবে গণ্য করেন।

২০১২ সালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর সি চিন পিং বলেন, “সুন্দর জীবনের প্রতি মানুষের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নই হলো আমাদের পরিশ্রমের লক্ষ্য।”

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn