নতুন সেমিস্টার শুরু, নতুন কি কি রয়েছে?

প্রসঙ্গ: চীনে নভেল করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিরোধ-নীতি সুবিন্যাসের পর ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম নতুন সেমিস্টার শুরু হয়েছে। এ দিন বেইজিংয়ের শি চিন শান অঞ্চলের এক প্রাথমিক স্কুলে গেটে শিক্ষার্থীদের ভিড় দেখা যায়। দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে লেখাপড়া করেছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক ও সহপাঠীদের সঙ্গে তাদের দেখা হয় নি। নতুন সেমিস্টারে স্কুলে যেতে পেরে তাঁদের মুখে হাসি ও আনন্দ ঝলমল করছে। স্কুলের হেডমাস্টরসহ বেশ কিছু শিক্ষক হাসিমুখে শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানায়। স্কুলের নিরাপত্তাকর্মী ও পুলিশ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন।
নতুন সেমিস্টারে স্কুলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কি কি নতুন ব্যবস্থা নেওয়া হবে? পিটি ক্লাস কিভাবে নেওয়া হবে এবং করোনায় আক্রান্ত হয় নি, যারা কিভাবে রক্ষা পাবে? সেসব প্রশ্নের ওপর গুরুত্বারোপ করছে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক। করোনা মহামারি প্রতিরোধ-নীতি শিথিল হওয়ার পর এই প্রথম নতুন সেমিস্টারের স্বাভাবিক অবস্থা রক্ষা করতে চীনের বিভিন্ন পক্ষ যৌথ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের যৌথ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণবিষয়ক কর্মদল ‘নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মহামারি প্রতিরোধ-সংক্রান্ত অপারেশন নির্দেশিকা’ প্রকাশ করেছে। তাতে বিস্তারিত নীতিবিধি আখ্যায়িত করা হয়।

নতুন সেমিস্টারে স্কুলে করোনা প্রতিরোধে নতুন কি ঘটেছে?
সম্প্রতি চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের যৌথ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ-বিষয়ক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, নতুন সেমিস্টারের এক সপ্তাহ আগে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে প্রতিদিন এবং স্কুলে যাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিদিন শরীরের তাপমাত্রা মাপার দাবি জানানো হয়। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে হবে। তাতে তাদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া যাবে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্কুলে প্রবেশের সময় তাপমাত্রা মাপতে হবে। যদি তাদের জ্বর টের পাওয়া যায়, তাহলে তাদের ওপর বিশেষ নজর রাখা হবে। এখন স্কুলে প্রবেশের জন্য নিউক্লিক এসিড টেস্ট রিপোর্ট আর লাগছে না। তবে, বাইরে থেকে কেউ স্কুলে ঢুকলে, টেস্ট রিপোর্ট লাগবে।
