বাংলা

চীনের পর্যটন শিল্প পুনরুদ্ধার হচ্ছে

criPublished: 2023-01-25 10:04:35
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

২০২৩ সালের ৮ জানুয়ারি থেকে কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা এক ধাপ নিচে নামিয়ে বি-শ্রেণীর সংক্রামক ভাইরাস হিসেবে করোনা মোকাবিলা শুরু করে চীন। পরিস্থিতি ও সময়ের পরিবর্তন অনুযায়ী, মহামারি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ম সমন্বয় করেছে চীন সরকার। পাশাপাশি মহামারি প্রতিরোধ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন একসাথে চলছে।

এমন প্রেক্ষাপটে চীনে বসন্ত উৎসবের ছুটি হলো। আর দেখা গেলো মানুষের ভ্রমণের প্রবণতা। চীনের চ্যচিয়াং, শানতুং,শানসি, কুই চৌ ও তিব্বত-সহ নানা জায়গায় ছুটে যাচ্ছে লোকজন। সেই সঙ্গে দেশব্যাপী পর্যটকদেরকে আকর্ষণ করতে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

যেমন চ্যচিয়াং প্রদেশের রাজধানী হাংচৌতে ২০২৩ সালের পয়লা জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৪১টি দর্শনীয় স্থান ও ৯টি ধর্মীয় স্থান সবার জন্য বিনামূল্যে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিম হ্রদ, সিসি জলাভূমিসহ বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান রয়েছে।

চীনের হ্য নান প্রদেশের লুও ইয়াং শহরে চালু করা নতুন নিয়ম অনুযায়ী ১ থেকে ৩১ জানুয়ারি প্রতিদিন ৪০ হাজার ৫২টি এ শ্রেণীর দর্শনীয় স্থানের টিকিট বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।

তিব্বতে ৩ জানুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত পোতালা প্রাসাদ বিনামূল্যে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, মন্দির ছাড়া তিব্বতে সব দর্শনীয় স্থানে কোনো টিকিট লাগবে না। মহামারি প্রতিরোধে যারা তিব্বতে সাহায্য করেছেন তারা সারা জীবন তিব্বতে বিনামূল্যে দর্শনীয় স্থানগুলোতে যেতে পারবেন বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কুই চৌ প্রদেশে পর্যটকদের কোনো টিকিটের খরচ দিতে হবে না। হোটেল ও পর্যটন পণ্যের দামে ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্ট দেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, ‘বিনা টিকিট নীতির’ কল্যাণে ২০২২ সালে চীনে জাতীয় দিবসের ছুটিতে উই পাহাড়ের পর্যটক সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে এবং পর্যটন খাতে আয় ৩০.২ কোটি ইউয়ান হয়েছে। হুয়াশান পাহাড়ে এক মাসের টিকিট মুক্ত নীতি চালু হয়েছে এবং এর মাধ্যমে ২০২২ সালের প্রথম ৭ মাসের পর্যটন আয়ের ৮৫ শতাংশ ওই মাস থেকেই এসেছে। টিকিটের দাম কম হলেও পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে। এতে হোটেল, খাবার ও বিনোদনসহ নানা ভোগের পরিমাণ বেড়েছে।

কোনো সন্দেহ নেই মহামারি প্রতিরোধের নিয়ম সমন্বয়ের সঙ্গে সঙ্গে ২০২৩ সালে সংস্কৃতি ও পর্যটন শিল্প পুনরুদ্ধার হবে।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn