বাংলা

চীনের সঙ্গে আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা জোরদার করার প্রত্যাশায় রয়েছে বিভিন্ন দেশ: চীনা অর্থনীতির দ্রুত পুনরুদ্ধার প্রসঙ্গ

CMGPublished: 2023-01-18 15:45:06
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

জানুয়ারি ১৮: সম্প্রতি চীনের শুল্ক সাধারণ প্রশাসনের মুখপাত্র লুই তা লিয়াং বলেছেন, সামষ্টিকভাবে দেখা যায় যে, ২০২২ সালে চীনের বিদেশি বাণিজ্যের নতুন অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। আমদানি ও রপ্তানির ব্যাপকতা, গুণগত মান ও কার্যকারিতা উন্নত হয়েছে। এই ফলাফল অর্জন সহজ নয়। এ বছরের দিকে তাকালে দেখা যায়, চীনের বিদেশি বাণিজ্য উন্নয়ন আরও কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় চীনা অর্থনীতির শক্তিশালী স্থিতিস্থাপকতা, দুর্দান্ত সম্ভাবনা ও যথেষ্ট প্রাণশক্তি রয়েছে।

‘গত ১০ জানুয়ারি চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি’র) কেন্দ্রীয় কমিটির বিদেশি যোগাযোগ বিভাগের আয়োজনে চীনে বিদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য চীনের মহামারী প্রতিরোধ নীতি সম্পর্কে একটি বিশেষ ব্রিফিং বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশগ্রহণকারী আফ্রিকা ও ফ্রান্সের প্রতিনিধিরা বলেছেন যে, চীনের অব্যাহত মহামারী প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণ নীতি সুবিন্যস্ত করার পাশাপাশি, চীনের সঙ্গে আর্থ-বাণিজ্যিক বিনিময় আরও জোরদার করার প্রত্যাশা করেন তাঁরা। এশিয়ান সিল্ক রোড গ্রুপের চেয়ারম্যান পিয়েরে মিরোচিংকোফ বলেন, ব্যবসায়ীদের জন্য চীনের সর্বশেষ মহামারী প্রতিরোধ নীতি বোঝা খুবই প্রয়োজন। গত তিন বছরে চীন সরকার জনগণকে রক্ষা করার জন্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ও সুষ্ঠুভাবে মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণনীতি বাস্তবায়ন করেছে। চীন সরকার সুশৃঙ্খল ও বাস্তবসম্মতভাবে প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণনীতিকে এগিয়ে নিয়েছে। সবসময় মহামারীর পরিবর্তনের বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রেখেছে। চীন ও ইউরোপের উচিত যৌথভাবে দু’পক্ষের আর্থ-বাণিজ্যিক বিনিময় জোরদার করা। চীন ও ইউরোপের সহযোগিতা উভয়ের জন্য কল্যাণকর; তাই দু’পক্ষের যৌথ প্রচেষ্টা চালানো দরকার। কঙ্গো (কিনশাসা) চীনের শিল্প ও বাণিজ্য ফেডারেশনের চেয়ারম্যান স্টিফেন মাবেলে বলেন, চীনের মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণনীতি সমন্বয়ের খবর পেয়ে আফ্রিকা ও ইউরোপ থেকে অনেক বন্ধুর ফোনকল পেয়েছেন। সবাই দ্রুত চীনের সঙ্গে আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা জোরদার করতে চান। এর অর্থ হলো, চীনা মহামারীর নতুন প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণনীতির ভূয়সী প্রশংসা করে তারা। এখন বেইজিং ও শাংহাইয়ে আসা ফ্লাইটে বিদেশি যাত্রীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে, তারা শিগগিরি চীনের সঙ্গে আর্থ-বাণিজ্যিক বিনিময় পুনরায় শুরু করার অপেক্ষা করছে।’

সেই সঙ্গে চীনা অর্থনীতি দ্রুত পুনরুদ্ধার করছে বলে জানিয়েছে বিদেশি গণমাধ্যম। তারা মনে করে, চীনা অর্থনীতির উন্নয়ন আন্তর্জাতিক সমাজের আস্থা বাড়িয়েছে। অপ্টিমাইজেশন ও মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সমন্বয়- চীনা অর্থনীতি উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সমাজের আস্থা বৃদ্ধি করেছে।

‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’ উল্লেখ করেছে যে, শাংহাইয়ের মেয়র লুং চেং বলেছেন, ২০২৩ সালে শাংহাইয়ের জিডিপি’র পরিমাণ ৫.৫ শতাংশ বেশি হতে পারে। জানা গেছে, শাংহাইয়ের জিডিপি’র পরিমাণ ২০২২ সালের ৫ শতাংশের লক্ষ্যকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। কিছু অর্থনীতিবিদ বলেন, ২০২২ সালে চীনের অভ্যন্তরীণ জিডিপি’র কিছুটা নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধির হার এবং মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ-নীতি শিথিল হওয়ার কারণে ২০২৩ সালে চীনা অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে সুযোগ তৈরি হয়েছে। ব্লুমবার্গের একটি সম্পাদকীয়তে বলা হয়, চীনের দ্রুত ‘পুনরায় উন্মুক্ত হওয়া’ অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সহায়তা দিয়েছে। এর আগে কঠোর মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণনীতির কারণে এবং কঠোর মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কারণে চীনা অর্থনীতির ক্ষতিগুলো পূরণ হয়েছে, এমনকি ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমানে চীনা অর্থনীতির ‘স্প্রিন্ট’ অবস্থা ২০০৮ ও ২০১২ সালের মতো দ্রুত উন্নয়নের পর্যায়ে রয়েছে’।

চীনা অর্থনীতির দ্রুত পুনরুদ্ধার চলছে। এটি কেবল চীনা অর্থনৈতিক সমাজের দ্রুত উন্নয়নে সহায়কই নয়, বরং বিশ্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে কল্যাণকর। বিশ্বের জন্য নিঃসন্দেহে এটি ভালো খবরও বটে।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn