শক্তিশালী কৃষিই কোনো দেশকে শক্তিশালী করতে পারে
সরবরাহের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও জরুরি। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেছেন যে, খাদ্য ও গুরুত্বপূর্ণ কৃষিপণ্যের একটি স্থিতিশীল এবং নিরাপদ সরবরাহচেইন নিশ্চিত করতে হবে। প্রাথমিক পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা একটি প্রধান কৌশলগত বিষয় এবং চীনা জনগণের কর্মসংস্থান অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। সবসময় চীনাদের নিজেদের হাতে থাকতে হবে খাদ্যের নিয়ন্ত্রণ।
গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনকে এগিয়ে নেওয়ার ওপরও প্রেসিডেন্ট সি বারবার জোর দিয়ে এসেছেন। তিনি বলেছেন, ‘নতুন যুগে একটি শক্তিশালী কৃষিভিত্তিক দেশ গড়ার জন্য ব্যাপকভাবে গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনকে এগিয়ে নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। মানব ইনপুট, বস্তুগত সম্পদ বরাদ্দ এবং আর্থিক সংস্থান অবশ্যই গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনের কাজে লাগাতে হবে’। গ্রামাঞ্চলকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। শিল্প, প্রতিভা, সংস্কৃতি, বাস্তুসংস্থান এবং সংগঠন পুনরুজ্জীবনের কাজ ব্যাপকভাবে এগিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। শিল্প পুনরুজ্জীবন গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। শিল্পসহায়তানীতি বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।
প্রযুক্তি ও সংস্কারের ওপরও সি চিন পিং গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, একটি শক্তিশালী কৃষিপ্রধান দেশ নির্মাণকে ত্বরান্বিত করার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং সংস্কারের উপর নির্ভর করা প্রয়োজন। প্রযুক্তি কৃষির আধুনিকায়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক। বিশ্বের কৃষিবিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ওপর নজর রাখা এবং উচ্চ-স্তরের কৃষিবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে স্বনির্ভরতা অর্জন করা জরুরি।
একটি বাসযোগ্য, ব্যবসা-বান্ধব এবং সুন্দর গ্রামাঞ্চল গড়ে তোলাও জরুরি। প্রেসিডেন্ট সি জোর দিয়ে বলেছেন, ‘গ্রামীণ আধুনিকায়ন একটি শক্তিশালী কৃষিদেশ গড়ার পূর্বশর্ত। একটি বাসযোগ্য, ব্যবসা-বান্ধব ও সুন্দর গ্রামাঞ্চল গড়ে তোলাই একটি শক্তিশালী কৃষিদেশের সঠিক অর্থ’। কৃষির আধুনিকায়ন ও গ্রামীণ আধুনিকায়ন সমন্বিতভাবে অর্জন করতে হবে।