মানুষের আধ্যাত্মিক জগতকে সমৃদ্ধ করা চীনা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন আধুনিকায়নের অপরিহার্য শর্ত
মানুষের আধ্যাত্মিক জগতকে সমৃদ্ধ করার জন্য সাংস্কৃতিক উদ্যোগ ও সাংস্কৃতিক শিল্পের উন্নতি ও বিকাশের জন্য কাজ করতে হবে। সাংস্কৃতিক উদ্যোগ ও সাংস্কৃতিক শিল্পের বিকাশ হল মানুষের আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক চাহিদা মেটানো এবং মানুষের সাংস্কৃতিক অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা করার মৌলিক উপায়। প্রেস ও প্রকাশনা শিল্প, রেডিও, ফিল্ম ও টেলিভিশন, সাহিত্য ও শিল্প, দর্শন ও সামাজিক বিজ্ঞানকে ব্যাপকভাবে সমৃদ্ধ করতে হবে, সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সুরক্ষাব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হবে, শহুরে ও গ্রামীণ পর্যায়ে ঐতিহাসিক সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে হবে, চারিদিকে ইতিবাচক শক্তি ছড়িয়ে দিতে হবে, জাতীয় চেতনাকে পুষ্ট করতে হবে, সাংস্কৃতিক আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতে হবে, মানুষের নৈতিক গুণ, নান্দনিক রুচি ও আধ্যাত্মিক পরিমণ্ডলকে উন্নত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
আধুনিক পাবলিক কালচারাল সার্ভিস সিস্টেম উন্নত করতে হবে, মানুষের ইনপুট বৃদ্ধি করতে হবে, বস্তুগত ও আর্থিক সম্পদ এবং উদ্ভাবন ও সাংস্কৃতিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে, যাতে জনগণের উপকার হয়। জাতীয় সাংস্কৃতিক উদ্যান তৈরি করে তা ভালোভাবে ব্যবহার করতে হবে, পাবলিক সাংস্কৃতিক সুবিধা ও স্থানের সংখ্যা বাড়াতে হবে। পাবলিক সাংস্কৃতিক পরিষেবার মান উন্নয়নে নজর দিতে হবে, যাতে লোকেরা আরও পরিপূর্ণ, সমৃদ্ধ ও উচ্চ মানের আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক জীবন উপভোগ করতে পারে। আধুনিক সাংস্কৃতিক শিল্পব্যবস্থা ও বাজারব্যবস্থা উন্নত করতে হবে এবং প্রধান সাংস্কৃতিক শিল্প প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
চেতনা ছাড়া দেশ শক্তিশালী হতে পারে না, চেতনা ছাড়া জাতি দাঁড়াতে পারে না। চীনা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন আধুনিকায়নের জন্য শুধুমাত্র বস্তুগত সম্পদ নয়, আধ্যাত্মিক সম্পদও প্রয়োজন। আমাদের অবশ্যই জনগণের আধ্যাত্মিক জগতকে সমৃদ্ধ করতে হবে, সামাজিক সভ্যতার স্তরের উন্নতি করতে হবে, চীনা জাতির সংহতি ও চীনা সংস্কৃতিকে উন্নত করতে হবে, যাতে একটি আধুনিক সমাজতান্ত্রিক দেশ গঠনের নতুন যাত্রায় নতুন নতুন সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়।