যা ছিল প্রেসিডেন্ট সি’র নববর্ষের শুভেচ্ছাবার্তায়
জানুয়ারি ৩: প্রিয় বন্ধুরা, ইংরেজি নববর্ষের প্রাক্কালে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি) এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে ২০২৩ সালের শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন। তিনি একটানা দশ বছর ধরে সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে আসছেন। আজকের ভিডিও’র মাধ্যমে আমরা একসঙ্গে তাঁর শুভেচ্ছাবার্তায় তুলে ধরা চীনের উন্নয়ন, অবিস্মরণীয় মুহূর্ত, সাধারণ চীনা মানুষের পরিশ্রমী মর্ম এবং বড় রাষ্ট্র হিসেবে চীনের দায়িত্ববোধ চর্চা করবো।
বিদায়ী ২০২২ সাল ছিল সিপিসি এবং চীনের ইতিহাসে সবচে গুরুত্বপূর্ণ বর্ষ। এই বছরে চীন সফলভাবে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) বিংশ জাতীয় কংগ্রেস আয়োজন করেছে। সার্বিক সমাজতান্ত্রিক আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিক চীনা জাতির মহান পুনরুজ্জীবন জোরদার করেছে। নতুন যুগে পরিশ্রমের নতুন যাত্রা শুরু করেছে।
২০২২ সালে চীন একটি বিশাল পরীক্ষার মুখোমুখি হয়েছে। এই বছর শতাব্দীর মহামারী এবং শতাব্দীর পরিবর্তন একত্রে হাজির হয়েছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্ অর্থনৈতিক সত্তা হিসেবে চীনের অর্থনীতি স্থিতিশীলভাবে উন্নত হচ্ছে। এ বছর চীনের জিডিপি ১২০ ট্রিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা যায়। বৈশ্বিক খাদ্য সংকটের মুখে চীনের খাদ্যশস্য উত্পাদনের পরিমাণ টানা ১৯ বছর ধরে অটুট রয়েছে। চীনা মানুষের খাদ্যের নিশ্চয়তা রয়েছে। চীন দারিদ্র্যবিমোচনের সাফল্য জোরদার করেছে এবং সার্বিকভাবে গ্রামীণ পুনরুত্থান পরিকল্পনা চালু করেছে।
কোভিড-১৯ মহামারী ছড়িয়ে পড়লে চীন বরাবরই জনগণ ও জীবনের ওপর সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছে। চীন বিজ্ঞানসম্মত ও মহামারি প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে এবং বাস্তব অবস্থা অনুযায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা সমন্বয় করে সর্বাধিক মাত্রায় জনজীবন ও স্বাস্থ্য রক্ষা করে আসছে। অসংখ্য ক্যাডার ও নাগরিক, বিশেষ করে চিকিত্সক ও তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীরা সাহসের সঙ্গে অভূতপূর্ব কঠিন পরিস্থিতি ও চ্যালেঞ্জ প্রতিরোধ করেছে। যা সহজ কাজ ছিল না। বর্তমানে মহামারী প্রতিরোধের নতুন পর্যায়ে এসেছে। তবে, আরো কঠিনতা দেখা যাচ্ছে। সবাইকে দৃঢ় পরিশ্রম করতে হবে। ভোর আমাদের সামনে। সবাই আরো পরিশ্রম করে এবং জোর দিয়ে সাফল্য অর্জন করবে। একতাই হলো সাফল্য।