সি চিন পিংয়ের ব্যাংকক সফর ও দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
অবাধ ও উন্মুক্ত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এপেকের গঠনতন্ত্র ও নীতি এবং পাশাপাশি, পুত্রজায়া ভিশনের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। এবারের সম্মেলনে এ বিষয়ের গুরুত্ব আবার তুলে ধরেন সি চিন পিং।
২০১৪ সালে এপেকের নেতারা বেইজিংয়ে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অবাধ বাণিজ্যিক প্রক্রিয়া শুরুর ঘোষণা দেন। এ প্রসঙ্গে সি চিন পিং বেশ কয়েকবার বলেছেন যে, এ অবাধ বাণিজ্যিক অঞ্চলের পথ সহজগম্য হবে না। সবার উচিত এ দিকে, এই বড় লক্ষ্য অর্জনের দিকে এগিয়ে যাওয়া।
ব্যাংকক সফরে চীন-থাইল্যান্ড সম্পর্কের নতুন যুগ উন্মোচনের কথা বলেছেন সি চিন পিং। গত ১৯ নভেম্বর দু’দেশের নেতারা আরও স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ এবং টেকসই চীন-থাইল্যান্ড অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট কমিউনিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন।
চীন-থাইল্যান্ড বন্ধুত্ব হাজার বছরের। ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে তত্কালীন চীনা ভাইস প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং থাইল্যান্ড সফরকালে বিশেষভাবে বন্যাদুর্গত অঞ্চল সফর করেন এবং দুর্গতদের সমাবেদনা জানান। চলতি বছর চীন-থাইল্যান্ড সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার দশম বার্ষিকী। গত জুলাই মাসে চীন-আইল্যান্ড অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট কমিউনিটি গঠনে একমত হয় দু’দেশ। চীন-থাইল্যান্ড অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট কমিউনিটি দু’দেশের সম্পর্কের উচ্চতার প্রতিফিত, যা দু’দেশের কৌশলগত সহযোগিতা গভীরতর করতে দিকনির্দেশনা দেবে। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচার সঙ্গে বৈঠকের সময় সি চিন পিং বলেন, ইতিহাসের নতুন বিন্দুতে দাঁড়িয়ে, থাইল্যান্ডের সঙ্গে বিশেষ মৈত্রী জোরদার এবং চীন-থাইল্যান্ড সম্পর্কের নতুন যুগ উন্মোচন করতে ইচ্ছুক চীন। দু’নেতা ‘চীন-থাইল্যান্ড কৌশলগত সহযোগিতা সংক্রান্ত অভিন্ন অভিযান পরিকল্পনা (২০২২-২০২৬)’সহ নানা সহযোগিতামূলক দলিল স্বাক্ষর অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন।
বালি দ্বীপ থেকে ব্যাংকক, চীনা প্রেসিডেন্ট সি চি পিং এবারের ৬ দিন ৫ রাতের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরে ৩০টিও বেশি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। তিনি নানা বিষয়ে প্রস্তাব ও উদ্যোগের কতজা বলার পাশাপাশি বাস্তব ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেছেন। তাতে নতুন যুগে চীনের মানবিক দিক ও দায়িত্ববোধ প্রতিফলিত হয়েছে।