নতুন যুগে চীন ও বিশ্ব একসাথে সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের সৃষ্টি করবে
বর্তমানে সারা বিশ্ব ব্যাপক অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে; অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের গতিও ধীর। একদিকে করোনা ভাইরাসের মহামারির প্রভাব এখনো গুরুতর, আন্তর্জাতিক পরিবেশ খুব জটিল; অন্যদিকে, বিশ্বের শিল্প চেইন ও সরবরাহ চেইনের অবস্থাও ভালো নয়। একতরফবাদ এবং সরংক্ষণবাদ আবারও দেখা যাচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে বিশ্বের অর্থনীতি কিভাবে মন্দা থেকে বের হয়ে আবারও প্রাণচঞ্চল হতে পারে? মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং-এর ভাষণ এসব প্রশ্নের উত্তর বলা যায়। আসলে উন্মুক্তকরণ হল মানবজাতির সভ্যতাকে এগিয়ে নেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। এটি বিশ্বের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের পথও বটে। শুধু সত্যিকার অর্থে বহুপক্ষবাদ মেনে চললেই বিশ্বের অর্থনীতিকে আরও সহনশীল, ভারসাম্যপূর্ণ করা যাবে।
উন্মুক্ত বিশ্ব অর্থনীতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে চীন অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনে ২১টি অবাধ বাণিজ্য এলাকা নির্মাণ করা হয়েছে; চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা, পরিষেবা মেলা, ভোগ্যপণ্য মেলাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মেলা আয়োজন করা হয়েছে ও হচ্ছে। ভবিষ্যতের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছেন যে, তাঁর দেশ বিভিন্ন দেশের সাথে চীনা বাজারের সুযোগ ভাগাভাগির মাত্রা বাড়াবে।
বন্ধুরা, আমরা এমন একটি যুগে বাস করছি যেখানে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে, আবার অনেক সুযোগও আছে। নতুন যুগের নতুন যাত্রায় বিশ্বে যে-পরিবর্তনই ঘটুক না কেন, চীনের উন্মুক্তকরণ সম্প্রসারণের আস্থা ও দৃঢ়তার পরিবর্তন ঘটবে না; মানবজাতির কল্যাণে বড় অবদান রাখার চীনা প্রচেষ্টা থেমে যাবে না। চীন বিশ্বাস করে, শুধু আরও বেশি দেশের সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টা চালানোর মাধ্যমেই বিশ্বের জন্য আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যত সৃষ্টি করা যাবে।