বাংলা

আফ্রিকার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গ

CMGPublished: 2022-09-22 19:22:55
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে, আফ্রিকা রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে ৫.১ বিলিয়ন মেট্রিক টন গম আমদানি করেছে, যা আফ্রিকার মোট গম আমদানির ৪৪ শতাংশ।

ইউক্রেন সংকট সৃষ্টির পর, পশ্চিমারা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং আফ্রিকার খাদ্য আমদানি কমতে থাকে। বর্তমানে, হর্ন অফ আফ্রিকা অঞ্চল কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ খরার সম্মুখীন হচ্ছে এবং খাদ্য উত্পাদন দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব কেনিয়ায়, কিছু কৃষি অঞ্চলে এই বছর পাঁচ বছরের গড় তুলনায় প্রায় ৮০ শতাংশ কম ভুট্টা সংগ্রহ করা যাবে। কেনিয়ার জাতীয় খরা কর্তৃপক্ষের মতে, বর্তমানে দেশে প্রায় ৪.১ মিলিয়ন মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা চলতি বছরের প্রথমার্ধে এই মর্মে সতর্ক করে দিয়েছিল যে, আফ্রিকার ৩৪৬ মিলিয়ন মানুষ খাদ্য সংকটে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে, ১৪ মিলিয়নেরও বেশি নাইজেরিয়ান একটি গুরুতর খাদ্য ও পুষ্টি সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে এবং এই সংখ্যা বাড়তে থাকবে।

নাইজেরিয়ার জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য দেখায় যে, নাইজেরিয়ায় খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার এই বছরের আগস্টে ২৩.১২ শতাংশে পৌঁছেছে। সমীক্ষা দেখায় যে, অনেক নাইজেরিয়ান এখন তাদের আয়ের ৮৫ শতাংশ খাবার কেনার জন্য ব্যবহার করছেন।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর প্রেসিডেন্ট জর্জিয়েভা কয়েকদিন আগে বলেছিলেন যে, বর্তমান বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি এবং খাদ্য ও জ্বালানি খাতে এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে, যা বিশ্বের প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে সুদের হার বাড়াতে এবং আর্থিক কঠোর নীতি বাস্তবায়নের জন্য প্ররোচিত করছে। এতে আফ্রিকার বেশিরভাগ দেশকে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও উচ্চ ঋণের দ্বৈত চাপের মুখে ফেলেছে।

আইএমএফের এক হিসেব অনুসারে, ২২টি আফ্রিকান দেশ বর্তমানে ঋণ সংকটে রয়েছে বা ঋণ সংকটে পড়ার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। মোদ্দাকথা, আফ্রিকার অর্থনীতি এখন মারাত্মক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

首页上一页12 2

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn