বাংলা

কার্বন-নিরপেক্ষতার প্রতিশ্রুতি থেকে ইইউ রাষ্ট্রগুলোর সরে আসা প্রসঙ্গ

CMGPublished: 2022-09-13 18:00:45
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

কার্বন-নিরপেক্ষতা হচ্ছে চীনের একটি জাতীয় কৌশল, যার সাথে সমগ্র বিশ্বকে দেওয়া চীনের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি রয়েছে। এই প্রতিশ্রুতি অনুসারে, চীনে ২০৩০ সালের পর থেকে কার্বন নির্গমন ক্রমশ কমতে থাকবে এবং ২০৬০ সালের মধ্যে চীন কার্বন-নিরপেক্ষতা অর্জন করবে। এই প্রতিশ্রুতি চীনের সরকার ২০১৫ সালে করেছিল। চীন কিন্তু এই প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসেনি! এটা বড় দেশ হিসেবে চীনের দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক। এটা চীনের কাছে যেমন একটি চ্যালেঞ্জ, তেমনি একটি সুযোগও বটে।

কার্বন-নিরপেক্ষতা অর্জনের পরিকল্পনায় চীন সম্পূর্ণরূপে তার নিজস্ব জাতীয় পরিস্থিতি বিবেচনা করেছে এবং সর্বোত্তম ফলাফল অর্জনের জন্য তার নিজস্ব সুবিধাগুলো ব্যবহার করছে। চীন সর্বদা নিজের জ্বালানিসম্পদের ব্যবহার উন্নত থেকে উন্নততর করতে চেষ্টা চালিয়ে আসছে এবং সক্রিয়ভাবে নবায়নযোগ্য শক্তি, জলবিদ্যুত, বায়ুশক্তি, সৌরশক্তি, ইত্যাদির বিকাশ ঘটাচ্ছে। চীন বর্তমানে এই ক্ষেত্রগুলোতে বিশ্বের প্রথম সারিতে রয়েছে।

কার্বন-নিরপেক্ষতা অর্জন করতে পারলে যুক্তরাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত তেলের বাজারের ওপর চীনের নির্ভরশীলতা অনেকাংশে কমে যাবে। তখন বিভিন্ন অজুহাতে আরোপিত মার্কিন চাপ মোকাবিলা করা চীনের জন্য সহজতর হবে। তাই, কার্বন-নিরপেক্ষতা চীনের জন্য সুযোগও বটে।

পক্ষান্তরে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোকে মুদ্রাস্ফীতি ও সরবরাহ সমস্যার কারণে কার্বন-নিরপেক্ষতার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসতে হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে চীন কার্বন-নিরপেক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে যখন ধাপে ধাপে এগিয়ে যাবে, তখন ইউরোপীয় দেশগুলোর তা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।

首页上一页12 2

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn