আজকের টপিক: চীনা গণমুক্তি ফৌজের হংকং শাখার ২৫তম বার্ষিকী
জুন ৩০: হংকংয়ের মাতৃভূমির অধীনে ফিরে আসার ২৫তম বার্ষিকীর পাশাপাশি সেখানে স্থাপিত চীনা গণমুক্তি ফৌজের স্থানীয় গ্যারিসনেরও ২৫ বছর পূর্তি হয়েছে। হংকংবাসী আস্থা নিয়ে এই বাহিনী ২৫ বছর ধরে নিজের দায়িত্ব পালন করে আসছে।
পাঁচ বছর আগে, চীনা কমিউনিসস্ট পার্টি (সিপিসি)-)র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক, দেশের প্রেসিডেন্ট এবং কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যান সি চিন পিং হংকং গ্যারিসন পরিদর্শন করেন। তখন তিনি জোর দিয়ে বলেছিলেন, হংকংয়ের গ্যারিসন দেশের সার্বভৌমত্ব এবং ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতি রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি এবং হংকং-এর সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার গুরুত্বপূর্ণ নিশ্চয়তা। এখন প্রয়োজন বাহিনীর রাজনৈতিক সচেতনতা ও সার্বিক জাতীয় চেতনা আরও মজবুত করা এবং ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ বজায় রাখার দায়িত্বপালনে আরও মনোযোগী হওয়া।
নতুন যুগে চীনা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সমাজতন্ত্রের ওপর সি চিন পিংয়ের চিন্তাধারা প্রভাব স্পষ্ট। হংকং গ্যারিসন আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে সি চিন পিংয়ের চিন্তাভাবনাও পরিষ্কার। সি চিন পিংয়ের হংকং গ্যারিসন পরিদর্শনের পর এ লক্ষ্যে বিশেষ পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়। নতুন যুগে চীনের সশস্ত্র বাহিনী আরও শক্তিশালী ও দায়িত্বশীল হবে এমনটা বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে।
মাতৃভূমিতে ফিরে আসার ২৫ বছর পরে, ‘প্রাচ্যের মুক্তা’ এখনও সমৃদ্ধ; ২৫ বছর হংকং পাহারা দেওয়ার পর, হংকং গ্যারিসনের আসল উদ্দেশ্যও বদলে যায়নি।
“আমাদেরকে বাহিনীর একটি ইউনিট হিসেবে 'এক দেশ, দুই ব্যবস্থা' নীতির মধ্যে কাজ করতে হয়। আমাদেরকে রাজনৈতিকভাবে খুবই শক্তিশালী হতে হবে।” হংকং গ্যারিসনের মেজর জেনারেলের রাজনৈতিক কমিশনার লাই রুক্সিন এ কথা বলেন। দেশের পতাকা ঊর্ধ্বে তুলে ধরা এবং জাতীয় ঐক্যের চেতনাকে ধারণ করা হংকং গ্যারিসনের মূল কাজ। পার্টিকে অনুসরণ করার জন্য অফিসার ও সৈন্যদের আদর্শিক ভিত্তিকে ক্রমাগত সুসংহত করাও নিশ্চিত করতে হবে। অনুগত ও নির্ভরযোগ্য হতে হবে প্রতিজন সদস্যকে।