মহামারি প্রতিরোধে চীনের নতুন ব্যবস্থা
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ছেন সি বলেন, চীনের গতিশীল শূন্য নীতি স্থায়ী হবে না বলে যে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক, তাতে তিনি কত সময়ের কথা বলেছেন? এ বিষয়ে স্পষ্ট করে বলতে হবে। ছেন সি মনে করেন, চীনের গতিশীল শূন্য নীতির কারণে মহামারি প্রতিরোধের জন্য সময় তৈরি করেছে। এ সময়কালে ভ্যাকসিন দেওয়া, অবস্থা অনুযায়ী চিকিত্সা দেওয়া ও আইসোলেশনে নেওয়া এবং জনসাধারণের মানসিকতা পরিবর্তনসহ নানা কাজ চালানো হয়েছে।
সর্বশেষ এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, চীন এ নীতি পালন না করলে ছয়মাসে ১৫ লাখ ৫০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হতে পারে। চীন বৃহত জনসংখ্যার দেশ। বুড়োদের সংখ্যা অনেক বেশি। বিভিন্ন অঞ্চলে উন্নয়ন ভারসাম্যহীন এবং চিকিত্সা সম্পদও পর্যাপ্ত নয়। মহামারি প্রতিরোধ ব্যবস্থা শিথিল হলে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়া এবং অনেকের প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বর্তমান বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে চীন বর্তমানে গতিশীল শূন্য নীতিতে অবিচল থাকছে এবং কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এককথায়, নিজের বাস্তবতা থেকে গতিশূল শূন্য নীতি পালন এবং পরিস্থিতির সাথে নানান ব্যবস্থা সুবিন্যস্ত করে চীন। এসব কর্মকান্ডের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের নিরাপত্তা ও প্রাণ রক্ষা এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীল উন্নয়ন সাধন করা।
রুবি/এনাম